শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কে সেমিনারে বক্তারা, ‘বাংলাদেশের আইটি খাত থেকে ট্রিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব’

শুক্রবার, অক্টোবর ৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: ‘বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তির (আইটি) যুগে ঢুকেচে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ সব দেশের দৃষ্টি এখন আইটি দুনিয়ায়। এ দুনিয়ায় বাংলাদেশের আকাশসম সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের শিক্ষিত তরুণদেরকে প্রশিক্ষিত করা গেলে দেশের আইটি খাত থেকে ট্রিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা সম্ভব বলে মনে করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য আগামী ২০৪৫ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী আইটি খাতে ২৮ মিলিয়ন কর্মীর প্রয়োজন হবে। সে ক্ষেত্রে আইটি খাতে বাংলাদেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীদের সামনে ভাল করার সুযোগ রয়েছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে বেসরকারী পর্যায়ের পাশাপাশি সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।’

গেল শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘আইসিটি ইনোভেশন ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশের আইটি পরিস্থিতি ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের অ্যালটেক্স ও স্পৃহা ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল আইটি নেটওয়ার্ক সার্ভিস, এনআরবি বিজনেস নেটওয়ার্ক ও আইজে ক্রিয়েটিভ সলিউসন্স।

সেমিনারের শুরুতে বাংলাদেশের সাম্প্রতি ‘জুলাই বিপ্লব’ আন্দোলনে নিহতসহ দেশের সব শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন এনআরবি বিজনেস নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ আনিসুল কবীর জাসির। পরবর্তী স্লাইড শোর মাধ্যমে বাংলাদেশের আইটি জগতের অবস্থান ও সম্ভাবনার বিস্তারিত তুলে ধরেন আইটি নেটওয়ার্ক সার্ভিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মিজান চৌধুরী এবং ওয়ানমেইন ফাইন্যান্সিয়ালের সিনিয়র আইটি বিজনেস এনালিন্স মোহাম্মদ শাফি চৌধুরী। বক্তব্য দেন স্পৃহা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক তাজিন শাদিদ ও হেড অব গ্রোথ হালিমা তাস-সাদিয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নতুন প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক স্কুল এলমা একাডেমমির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত আইটি সেক্টরে বাংলাদেশও এগিয়ে চলছে। তবে, তা আশানুরূপ নয়। এ সেক্টেরে আরো আরো বিনিয়োগ দরকার ও দেশের তরুণ-তরুণীদের সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজন সব মহলের সার্বিক সহযেগিতা।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘দিন দিন আইটি বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের আইটি বাজারে একটি বড় অংশ ভারতীয় তরুণরা দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশর তরুণরাও সেই বাজারে নিজেদের যোগ্য করে তুলতে পারে।’

এ প্রসঙ্গত বক্তারা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব’-এর মধ্য দিয়ে দেশের তরুণরা প্রমান করেছে, তারা চাইলে বহু কিছুই পারে ও পারবে। এখন সময় শুধু তাদের সহযোগিতা করা।’

সেমিনারে আইজে ক্রিয়েটিভ সলিউসন্সের সিইও সালমা জাহান, সিওও মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম সনিসহ বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশী ও আইটি পেশায় আগ্রহী প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

বলে রাখা ভাল, স্পৃহা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ‘কোয়ালিটি এন্ড অ্যাফোর্ডেবল হেলথকেয়ার ফর অল’ শ্লোগান নিয়ে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে অতিথিদের মাঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে মুহাম্মদ ইউনূসের যোগদান উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ইংরেজী ম্যাগাজিন ‘দ্যা নিউইয়র্ক এডিটরিয়াল’-এর বিশেষ সংখ্যা তুলে দেয়া হয়।