সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

নির্বাচনী বিতর্কে ট্রাম্পের পারফরম্যান্সে হতাশ রিপাবলিকান শিবির

বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: নির্বাচনী বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারফরম্যান্সে হতাশা দেখা দিয়েছে তার রিপাবলিকান দলের সদস্য, দাতা ও উপদেষ্টাদের মধ্যে। তাদের মতে, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সাথে বিতর্কে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প। সংবাদ রয়টার্সের।

বিতর্কে ট্রাম্পের পারফরম্যান্সকে ‘দুর্বল’ অভিহিত করে রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, ‘একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল। তিনি লক্ষ্যে স্থির থাকতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ফলে, মঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ হারিয়েছেন।’

৫৯ বছর বয়সি কমলা তার বক্তব্যে প্রায় পুরোটা সময় ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্পকে কোণঠাসা করে রেখেছিলেন। আইন লঙ্ঘনমূলক বিভিন্ন কাজ ও ওভাল অফিসে বসার যোগ্যতা নিয়ে ক্রমাগত প্রশ্ন করে ট্রাম্পকে রক্ষণাত্মক অবস্থানে নিয়ে যান হ্যারিস।

ট্রাম্পের প্রাক্তন মিত্র ও বর্তমান সমালোচক ক্রিস ক্রিস্টি বলেছেন, ‘কমলার প্রস্তুতি ছিল চমৎকার। কিন্তু, ট্রাম্পের এখানে ঘাটতি দেখা গেছে। বিতর্ক প্রস্তুতিতে সহায়তাকারী ব্যক্তি যেই হোক, সে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাকে বরখাস্ত করা উচিত।’

বিতর্ক দলে কোন রদবদল হবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্তব্য করেনি ট্রাম্প শিবির।

এ দিকে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা আমার সেরা বিতর্কগুলোর একটা ছিল বলেই তো মনে করছি, বোধহয় এখন পর্যন্ত এটাই শ্রেষ্ঠ।’

ডেমোক্র্যাটদের আহ্বানে আরেক দফা বিতর্কের ব্যাপারে আগ্রহী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার দিকে আগ্রহ একটু কমই। কারণ, আমার সন্ধ্যাটা তো অসাধারণ গেছে।’

এবিসি নিউজ আয়োজিত এ বিতর্কের টেলিভিশন দর্শক ছিল প্রায় ছয় কোটি ৭১ লাখ। অবশ্য অনলাইন দর্শকের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিপাবলিকান দলের ছয়জন দাতা ও ট্রাম্পের তিন উপদেষ্টা বলেছেন, বিতর্কে কমলা জিতেছেন। আর ট্রাম্প তার বক্তব্যে স্থির থাকতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

দ্বিতীয় দফা বিতর্কে ট্রাম্পের অংশ নেয়া উচিত হবে কিনা, সে বিষয়ে দুেইজন দাতা অনিশ্চয়তায় আছেন। একজন বলেছেন, ‘এটি আসলে নির্ভর করবে ট্রাম্পের প্রস্তুতিতে সহায়তাকারীদের আত্মবিশ্বাসের ওপর।’ অন্য দুই দাতা আবার মনে করছেন, রিপাবলিকান শিবিরে উদ্যম ফিরে পেতে আরেক দফা বিতর্ক প্রয়োজন।’