রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

শেখ হাসিনাসহ প্রাক্তন তিন সিইসির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রাক্তন তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রাকিবুদ্দিন আহমদ, কেএম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবসহ ১৮জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ ও প্রতারণামূলক নির্বাচনের আয়োজনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে ওবায়দুল কাদেরসহ তিন মেয়াদে থাকা সাংসদদের।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ কাজী শরিফুল হকের আদালতে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। আদালত মামলা গ্রহণ করে অভিযোগ তদন্তপূর্বক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে (সিএমপি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের একপেশে, জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ভুয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন ও সংবিধান রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের শপথ ভঙ্গ করে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ভুয়া সাংসদ ঘোষণার ক্ষেত্রে আসামিদের সক্রিয় ভূমিকা ও অংশগ্রহণ ছিল। ভুয়া নির্বাচন আয়োজন ও অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সাংসদ ঘোষণার কারণে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন, জাতীয় সংসদসহ সব সাংবিধানিক কাঠামোর প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও প্রত্যয় নষ্ট হয়ে যায়। এতে সাংসদদের ব্যঙ্গ করে ক্ষুদ্ধ জনগণ ২০১৪ সালের সাংসদদের বিকাশ এমপি, ২০১৮ সালের সাংসদদের নিশীরাতের এমপি ও ২০২৪ সালের সাংসদদের ডামির এমপি বলে হেয় করত।’

আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে-পরিকল্পনায় বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকারসহ সব অধিকার হরণ করে তাদেরকে শোষণের ও লুন্ঠনের জন্য একের পর এক প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে অনির্বাচিত লোকদেরকে ভুয়া জাতীয় সাংসদ ঘোষণা করে সংসদ ও নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও প্রত্যয় নষ্ট করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ ও সবশেষ ২০২৪ সালে ভুয়া নির্বাচন আয়োজনের ঘটনায় প্রাক্তন তিন সিইসির নেতৃত্বাধীন ইসিসহ মোট ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। আদালত সিএমপির কমিশনারকে একজন সহকারী কমিশনারের নিচে নয়- এমন পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে মামলার অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘একই সাথে এসব নির্বাচনে সাংসদ যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারাও অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করায় তাদেরও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।’