বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিরোনাম

ক্লাউড কম্পিউটিং সম্ভাবনাকে এগিয়ে নিতে হল ‘হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপি সামিট’

বৃহস্পতিবার, জুন ১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে মঙ্গলার (৩০ মে) অনুষ্ঠিত হয় হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপি ২০২৩ সামিট। ফিউশন ইনফোটেকের সাথে যৌথভাবে এ সামিটের আয়োজন করে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া। ক্লাউড প্রযুক্তির সক্ষমতা ও এর সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করতে এ সামিটের আয়োজন করা হয়।

এ খাতের প্রায় ১০০ জন ব্যবসায়ী, বিশেষজ্ঞ, ক্লাউড প্রফেশনাল ও গ্রাহক প্রতিনিধি এ সম্মেলনে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা ক্লাউড প্রযুক্তির শক্তি ও এ সংক্রান্ত উদ্ভাবন প্রত্যক্ষভাবে দেখার সুযোগ পান। এছাড়া, অংশগ্রহণকারীরা সহযোগীদের (পার্টনার) নিয়ে তৈরি করা ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে ও তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখেন। ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় ও স্থানীয় প্রেক্ষাপটে ক্লাউড প্রযুক্তির সীমাহীন সম্ভাবনা সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। হুয়াওয়ে ক্লাউড কীভাবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মদক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে ও নিজ-নিজ খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সহায়ক হবে, সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্লাউড ডিপার্টমেন্টের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. শাজাহান আহমেদ। সম্মেলনে তিনটি অংশ (প্লেনারি সেশন, ক্লাউড সেশন ও রিওয়ার্ড এন্ড রিকগনিশন) ছিল। মূল অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্লাউড ডিপার্টমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্স লি এবং ফিউশন ইনফোটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিশান আহমেদ মূল বক্তব্য দেন। তারা প্রযুক্তিগত রূপান্তর, বর্তমান পরিস্থিতি ও ক্লাউড ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায় সম্প্রসারণে করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন। ফিউশন ইনফোটেকের এসএপি ডেলিভারি প্রধান রাজীব ইমরান হুয়াওয়ে ক্লাউড এসএপির ব্যবহারিক দিক বর্ণনা করেন এবং কীভাবে এসএপি ব্যবহারকারী গ্রাহকরা এ ক্লাউড পরিষেবার মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে ও সর্বোচ্চ অপ্টিমাইজেশন নিশ্চিত করতে পারবে, তা ব্যাখ্যা করেন।

অ্যালেক্স লি বলেন, ‘হুয়াওয়ে ক্লাউড প্রযুক্তির সম্ভাবনা উন্মোচনে ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্লাউডের মাধ্যমে ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ক্লাউড ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করার ধরনে আমূল পরিবর্তন এনেছে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্লাউড সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে আরো শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও বিনিয়োগের উপর রিটার্ন (আরওআই) বৃদ্ধি করতে সাহায্য করা আমরা আমাদের দায়িত্ব মনে করি।’

জিসান আহমেদ বাংলাদেশে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রবণতার ওপর গুরুত্বারোপ করে এ খাতকে আরো গতিশীল করে তুলতে যথাযথ নীতিমালা তৈরির ক্ষেত্রে খাতসংশ্লিষ্ট সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ও ফিউশন ইনফোটেক এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ও আমাদের
সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। নিঃসন্দেহে, ক্লাউডই ভবিষ্যৎ ও সৌভাগ্যক্রমে হুয়াওয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উন্মোচন করা সম্ভব।’

রাজীব ইমরান বলেন, ‘এসএপি এবং হুয়াওয়ের মধ্যে শক্তিশালী সহযোগিতা রয়েছে ও এ সহযোগিতার পরিসর আরো বাড়ছে। দুইটি প্রতিষ্ঠানই হাই-পারফরমেন্স ও ফলাফলভিত্তিক সমাধানের উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করছে, যা শিল্প খাতজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য অভুতপূর্ব প্রবৃদ্ধি বয়ে আনবে। এসএপি এবং হুয়াওয়ে- উভয় প্রতিষ্ঠানই উদ্ভাবন ও নির্দিষ্ট খাতের প্রয়োজন অনুযায়ী এন্ড-টু-এন্ড সল্যুশন-ভিত্তিক মডেল তৈরির লক্ষ্য কাজ করছে। আমি আজ এখানে উপস্থিত থেকে গ্রাহকদের কার্যক্রমগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্লাউড সেবায় হুয়াওয়ে যে উদ্ভাবন এনেছে, সেটার বিভিন্ন দিক সবার তুলে ধরতে পেরে আনন্দিত।’

অনুষ্ঠান চলাকালে, ইফাদ ও ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (এইচডব্লিউসি এসএপি গ্রাহক) প্রতিনিধিগণ হুয়াওয়ের ক্লাউড সেবা ব্যবহার নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি সকলের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়। যার ফলে, সকলেই ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কিত ব্যবহারিক কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার সমাধান পান। সেশনের পরে, একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যেখানে অ্যালেক্স লি হুয়াওয়ে ক্লাউড বাংলাদেশের সহযোগীদের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রেষ্ট দেন।

উল্লেখ্য, ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের একটি এসএপি। এসএপি বিভিন্ন কার্যকরী ডেটা প্রসেসিং ইনফরমেশন ফ্লো ব্যবস্থাপনায় কাজ করে। অন্য দিকে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ক্লাউড খাতে হুয়াওয়ে ক্লাউড অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং ক্লাউড সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ ক্ষেত্রে, হুয়াওয়ের সহযোগীদের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্পূর্ণভাবে কানেক্টেড ও ইন্টেলিজেন্ট বিশ্বের জন্য ক্লাউডের ভিত্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে হুয়াওয়ে ক্লাউড।