শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

শিরোনাম

পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ‘শিক্ষা সিলেবাসের অসঙ্গতি, ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের এ ধারাবাহিক কার্যক্রমকে শিক্ষা মন্ত্রী ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মিথ্যাশ্রয়ী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছিল। এখন শিক্ষা মন্ত্রীই মিথ্যুক প্রমাণিত হয়েছেন। এখন আবার পাঠ্যবই নিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রী। আমরা বলে দিতে চাই, শিক্ষা মন্ত্রী নিজেই প্রতিহত হয়ে যাবে। অতএব, শিক্ষা মন্ত্রী এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না।’

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা ঢাকার বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ডেনমার্ক ও সুইডেনে কোরআনে অগ্নিসংযোগ এবং পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, ধর্ম বিরোধী মতবাদের অনুপ্রবেশ, বিজাতীয় সংস্কৃতির আধিপত্য ও ইসলামকে হেয় করার প্রতিবাদ এবং পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিশাল বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ঢাকা মহানগর উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, দক্ষিণ সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম, হাফেজ জয়নুল আবেদীন, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম।

বিক্ষোভ শেষে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন হয়ে বিজয়নগরে শেষ হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী ফয়জুল করীম আরো বলেন, ‘২০২৩ এর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্ব অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার, পৌত্তলিক ও ব্রাক্ষণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, ইসলামকে ভিনদেশি সাব্যস্ত করা এবং প্লেজারিজমের মত নিন্দনীয় কাজের আশ্রয় নেয়া হয়েছে; যা জাতি হিসাবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার।’

শায়খে চরমোনাই বলেন, ‘যারা বিশ্বাস করবে, মানুষ আদমের সন্তান নয়। বরং কোন জীব-জানোয়ার বা অন্যান্য কিছু থেকে সৃষ্টি তাহলে তারা কাফের। কাজেই এ নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সিলেবাস এ দেশে চলতে পারে না, এর পরিবর্তন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রী যৌন শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিয়ে তিনি যৌন শিক্ষা মন্ত্রী খ্যাতি অর্জন করেছেন। আওয়ামী লীগের ডিকশনারীতে মিথ্যা বলে কোন শব্দ নেই, তারা যা বলে তাই সত্য। অন্যসব মিথ্যা। এ জন্য তারা মিথ্যায় পারদর্শি। অন্যদের সত্য তারা মিথ্যা বলে মনে করে।’

মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ‘কারো ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমান করার অধিকার কারো নেই। শিক্ষা সিলেবাসে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইসলামী শিক্ষাকে সিলেবাস থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা শেখানো হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। ছাত্রছাত্রীদের নাস্তিক বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’

এ সময় তিনি ইসলামবিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসার আহবান জানান। অন্যথায়, সারা দেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।