শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

বিশ্ব নেতাদের প্রতি ইউনূস, ‘সুন্দর বিশ্ব গড়তে তারুণ্যে বিনিয়োগ করুন’

রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ব নেতাদের টেকসই উন্নয়ন ও একটি সুন্দর বিশ্ব গড়তে নিজ নিজ দেশের তরুণদের পেছনে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈষম্যের মত বড় বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর তরুণরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ উদ্দেশ্যে, তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে এবং আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীল বিশ্ব গড়ে তুলতে তাদের দক্ষতা ব্যবহার করতে হবে।’

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে যে ঐতিহাসিক পরিবর্তন হয়েছে, তার জন্যই তিনি অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘে ভাষণ দিতে পারছেন। জনগণের শক্তি, বিশেষ করে যুবসমাজ বাংলাদেশকে একটি স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসনের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। যুব নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাজনৈতিক সচেতনতার এক নয়া যুগে ঢুকেছে।’

তিনি বলেন, ‘এ পরিবর্তনের সাথে বহু সমস্যা এসেছে। কিন্তু, তরুণদের দৃঢ় সংকল্প দেশে আরো সমান ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ভিত্তি তৈরি করছে।’

গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখা ও সব নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তার দেশ শান্তি, উন্নয়ন ও অধিকারের প্রতি অঙ্গীকার বজায় রাখবে। স্বাধীনতা ও মর্যাদার নীতিগুলি বাংলাদেশ সরকার এবং এর আন্তর্জাতিক অবস্থানের কেন্দ্রবিন্দু।’

বাংলাদেশের মানুষ অসামান্য সাহসিকতার সঙ্গে স্বাধীনতা ও তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে এবং তরুণরা আজ ন্যায়বিচার, সাম্য ও ভবিষ্যতে তাদের ভূমিকার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এমন একটি পরিবেশ খুঁজে পাওয়া উচিত, যেখানে তারা বেড়ে উঠতে পারে, উদ্ভাবন করতে পারে ও নেতৃত্ব দিতে পারে।’

তারুণ্যের ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সমসাময়িক সমস্যা সমাধানের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে তরুণদের অর্থপূর্ণ ও জোরালো অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে যে শিক্ষা নেয়া হয়েছে, তা এখনো দেশের তরুণদের কর্ম ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলিত হচ্ছে। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে বাংলাদেশের তরুণরা তাদের মূল্যবোধ ধরে রেখেছে। তারা প্রমাণ করেছেন যে, স্বাধীনতা, মর্যাদা ও বৈষম্য ছাড়া সব মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখা কেবল উচ্চাকাঙ্ক্ষা হয়েই থাকতে পারে না- এটি পদ-ভেদাভেদ নির্বিশেষে সকলের প্রাপ্য।’