বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিরোনাম

ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার আগেভাগেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু করেছে

রবিবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ের অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে সরকার নাশকতা ইঙ্গিত দিচ্ছে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান সাংসদ গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘সরকারের কথা শুনে মনে হচ্ছে, আক্রমণই আত্মরক্ষার ভাল কৌশল, অফেন্স ইজ দ্যা বেষ্ট ডিফেন্স। ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার আগেভাগেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু করেছে। সবার আগে নিজেদের ব্যর্থতা দেখা উচিত। পরপর অগ্নিকান্ডের ঘটনা যদি নাশকতা হয়, তাহলে নাশকতা ঠেকাতে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। জানমালের নিরাপত্তা ও নাশকতা ঠেকানো সম্পূর্ণ সরকারের দায়িত্ব। সরকারের কথা শুনে মনে হচ্ছে, মশকরা হচ্ছে, জনগণের কষ্ট যেন তারা বুঝেই না। সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের তা বুঝতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আগাম দোষারোপের ঘটনায় সাধারণ মানুষ মর্মাহত। দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলতে হবে। প্রতিটি বক্তেব্যের পক্ষে তথ্য-উপাত্ত ও স্বাক্ষ-প্রমাণ থাকতে হবে। তাছাড়া, ভবিষ্যতে যাতে এমন দূর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষ জানতে চায়।

রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অগ্নিদূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ নিউ সুপার মার্কেট পরিদর্শন করে গণ মাধ্যম কর্মীদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি নিউ সুপার মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করেন।

গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ‘এখন প্রতিদিনই সহানুভূতি জানাচ্ছি আর সরকারকে বলছি, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতি পূরণ দিতে। এখন কারো নিরাপত্তা নেই, নিজ উদ্যোগে আমরা যতটা নিরাপদ থাকতে পারি। আল্লাহর দয়ায় যতটা নিরাপদ থাকা যায়। আমরা ট্যাক্সের টাকায় বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা লালন-পালন করছি। গরীব মানুষের অর্থে তারা বাড়ি-গাড়ি, এয়ারকন্ডিশন ও শানশওকতে বাসবাস করছে, কিন্তু তাদের দায়িত্ব পালনে সফলতা দেখছি না। সরকার নিজেদের সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা কাজে লাগাচ্ছে। দেশ ও জাতির জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে কেউ ভাবছে না।’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের তিন বলেন,‘ জনপ্রতিনিধিরা এখন সব ক্ষেত্রে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। জনগণও ঠিক মত তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারছে না। এটাই বাস্তবতা। জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তাদের সবার দায় দায়িত্ব আছে, গণমানুষের স্বার্থ রক্ষায় তারা ব্যর্থ হচ্ছে। দুর্নীতি ও অনীয়মের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে বৈধতা দেয়া হচ্ছে। দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। কেউ আইন শৃংখলা মানছেন না। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমন দূর্ঘটনায় সরকার দায় এড়াতে পারে না।’

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের সাথে পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, যুগ্ম যুব বিষয়ক সম্পাদক মো. দ্বীন ইসলাম শেখ উপস্থিত ছিলেন।