নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: ‘গণঅভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় নবজাগরণের নাগরিক অভিষেক’ শীর্ষক অনুষ্ঠান গেল ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির গুলশান টেরেসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেস, জয় বাংলাদেশ মিডিয়া, বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ার যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জয় বাংলাদেশ মিডিয়ার সমন্বয়ক আদিত্য শাহীনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সামিট অফ দ্য ফিউচারের নির্বাহী পরিচালক এএইচএম বজলুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিউইয়র্কের সমন্বয়ক ফাহাদ হোসেন, আব্দুল কাদের, জেবি টিভির সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান, আওয়াজ বিডির প্রধান সম্পাদক শাহ আহমেদ, রাজনীতবিদ আহমেদ শরীফ, পরিচয়ের সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক বাংলাদেশের সম্পাদক ওয়াজেদ এ খান, প্রবাসের সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, জন্মভূমির সম্পাদক রতন তালুকদার, এনওয়াই কাগজের সম্পাদক মনওয়ারুল ইসলাম, প্রবাসী চিকিৎসক আক্তার হাসান, সাউথ এশিয়ান টাইমসের সম্পাদক দীপক কুমার আচার্য।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় হামলায় নিহত, পঙ্গুত্ববরণকারী ও অংশগ্রহণকারী ছাত্র জনতার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টারের খতিব মাওলানা আব্দুস সাদিক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ পরিচালনায় দায়িত্ব নেয়া মুহাম্মদ ইউনূসর নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকারের গেল দেড় মাসের কার্যক্রম তুলে ধরেন, কোন পথে এগুচ্ছে বাংলাদেশ তা নিয়ে সমালোচনাও করেন।
পিপল ইউনাইটেড ফর প্রোগ্রেসের প্রেসিডিন্ট আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রথম ও প্রধান কাজ। বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের নেয়া উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করা যেতেই পারে। কারণ, তাদের কারোরই সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা নেই। তাদেরকে ‘লিডার’ না বলে ‘ডিলার’ বলা যেতে পারে। কারণ, তারা চুক্তি করতে দক্ষ। তারা এনজিও পরিচালনা থেকে অন্তবর্তী সরকার পরিচালনায় এসেছে। এ অবস্থায়, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে দেশের অভ্যন্তরে ও সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্তিশালীকরণ ও তাদের জবাবদিহিতায় আনা সবচেয়ে জরুরি।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব নিয়ে আবু জাফর মাহমুদের লিখিত ‘বাংলাদেশকে ঘিরে পরাশক্তির উত্থান সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রামাণ্যিচত্র দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাংলা গানের জনপ্রিয় শিল্পী রিজিয়া পারভীনের পরিবেশনা। এছাড়া, গান করেন নিউইয়র্কের শিল্পী মেহেরুন আহমেদ, আলভান ও উম্মে জান্নাতুল ফেরদৌস বাঁধন।