রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৩৬৫ ডলার

বুধবার, নভেম্বর ১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: বর্তমানে দেশের মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৩৬৫ ডলার। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সংসদে আওয়ামী লীগের সাংসদ সেলিমের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৬২ হাজার ৩১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার (অস্থায়ী), যার মধ্যে বহুপক্ষীয় উৎস থেকে ৩৬ হাজার ৭৮১ দশমিক তিন মিলিয়ন ডলার ও দ্বিপক্ষীয় উৎস থেকে ২৫ হাজার ৫৩১ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার রয়েছে।

কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৭৯ লাখ ও বর্তমানে মাথাপিছু ঋণ প্রায় ৩৬৪ দশমিক ৮৫ ডলার।’

অর্থ মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব ব্যাংক থেকে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৫৩৬ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ-১১ আসনের সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থ মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মান অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে মোট বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ ২১ হাজার ১১৬ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের পরিমাণ কমলেও দেশে রিজার্ভের কোন ঘাটতি নেই।’

জাতীয় পার্টির সাংসদ মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের উত্তরে অর্থ মন্ত্রী বলেন, ‘গেল পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৩) বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক হাজার ৪০৮ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে। যার আনুমানিক দাম এক হাজার ২২৬ কোটি টাকা।’

তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকৃত এক হাজার ২৭২ দশমিক ১০ কেজি স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে।’

ভোলা-৩ আসনের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে অর্থ মন্ত্রী জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (টিন) সংখ্যা ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার।

তিনি আরো বলেন, ‘আয়কর আইন-২০২৩ অনুযায়ী, স্পট ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট বিলুপ্ত করা হয়েছে।’

চট্টগ্রাম-৩ আসনের সাংসদ মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে অর্থ মন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত দেশে ব্যক্তিগত করদাতার সংখ্যা ৮৯ লাখ ৫৩ হাজার।

জাতীয় পার্টির সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের উত্তরে অর্থ মন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও যুদ্ধ-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হ্রাস পেয়েছে ও মুদ্রা বিনিময় হারের উপর কিছুটা চাপ পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি কমাতে ও রিজার্ভ পুনর্গঠনে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।’