রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড চেম্বার এক্সপো ২০২৪ অনুষ্ঠিত

রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রে ‘নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড চেম্বার এক্সপো-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারের ম্যারিয়ট মারকিউজ হোটেলের হল রুমে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী এ মেলা সম্পন্ন হয়।

এক্সপোতে নিউইয়র্কের ৮৩ ও বাংলাদেশের ৩১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বাংলাদেশ-ইউএস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, গ্রেটার নিউ ইয়ার্ক চেম্বার অব কমার্স, ইউএসএ-বাংলা বিজনিস লিংক যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টচার্য। অতিথি ছিলেন বিকেএমইএর সভাপতি মুহাম্মদ হাতেম, পরিবেশ আন্দোলনের শরীফ জামিল, ডেফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান সবুর খান, ক্যাম্পির মুস্তাফিজুর রহমান, আইএফডিসির চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন শফিকুর রহমান, বিজেএমইএর পরিচালক রাজীব চৌধুরী, সিমেডের খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মান্নান, জামান জুটের সৈয়দ আসাদুজ্জামান, কুষ্টিয়ার সেতু গ্রুপের আব্দুল কাদের, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিফ, লং আইল্যান্ডের শিল্পপতি সৈয়দ জাকি হোসাইন, কোল ফ্রি ওয়ার্ল্ডের রায়হানূল ইসলাম চৌধুরী, ফাজিল গ্রুপের আবুল হোসাইন, বিএমএর প্রাক্তন সভাপতি জিয়াউর রহমান, কানাডার আরিফুর রহমান, খলিল বিরিয়ানি হাউজের মালিক খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন বিশ্বজিৎ সাহা।

প্রধান অতিথি দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘নিউইয়র্কে এ মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসায়িক নতুন দিগন্তের সূচনা হল। আশা করছি, এটি সামনের দিনগুলোতে আরো বিস্তৃত হবে।’

স্বাগত বক্তব্যে গ্রেটার নিউ ইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মার্ক জেফি বলেন, ‘গেল তিন বছর ধরে হওয়া এ আয়োজন বাংলা এবং ইউএসএর ব্যবসায়ীদের মধ্যে নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।’

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এ মুহূর্তে ইউনূসের মত মানুষ বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার বৈশ্বিক ইমেজকে কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এ ব্যবসায়িক অংশীদারকে আরো বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এ নিয়ে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে। আর প্রয়োজন এ রকম আয়োজনের।’

এক্সপোতে অংশ নিয়েছে হ্যান্ডিলোম এবং হ্যান্ডিক্রাপ্ট, আইটি ও সফটওয়ার ইন্ডাস্টি, মেডিক্যাল ও ফার্মাসিউটিক্যাল, মোবাইল ও টেলিকমিউনিক্যাশন, ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান, নিউট্রেশন ও বেভারেজ, চামড়া ও চামড়াজাত, এগ্রো ও এগ্রো প্রসেসিং, ফুড ও বেভাবেজ, ক্যাপিটাল মার্কেট, আবাসন, রেমিটেন্স, ট্যুরিজম ও এনার্জি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। এ আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্য ও সেবা বিদেশে উপস্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখবে।

মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রদর্শনী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেমিনার, প্রবন্ধ উপস্থাপনসহ নানা আয়োজন ছিল।