রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

অবৈধ ক্ষমতার মসনদ দীর্ঘায়িত করতে টার্গেট জিয়া পরিবার

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ১৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম বার্ষিকী পালন করছি, যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র, সাম্য, মানবাধিকারের স্বপ্ন আজো বাস্তবায়ন হয়নি। দেশে আজ নব্য স্বৈরাচারের আবির্ভাব হয়েছে। দেশ আজ লুটেরার হতে জিম্মি। অবৈধ ক্ষমতার মসনদ দীর্ঘায়িত করতে জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে শহীদ জিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যত দিন এ বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন জিয়ার নাম মানুষের হৃদয়ে গাথা থাকবে।’

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) বাদে সিটির জোহর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বিএনপির প্রতিষ্ঠাততা জিয়াউর রহমানের ৮৭ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।

এতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তিনি এ দেশের উন্নয়নের জন্য দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে গেছেন। তার স্বাধীনতার ঘোষণায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরে পেয়েছিলাম। কিন্তু, সেই গণতন্ত্র ও অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। স্বাধনীতার ঘোষকের স্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ গৃহবন্দী। দেশে আজ ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই। বিএনপি দীর্ঘকাল ধরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে৷ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মী। এ পরিস্থিতি থেকে দেশ ও জনগণকে মুক্ত করতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নাই। তাই, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে৷’

দোয়া মাহফিলে জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতাকর্মীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমএ হালিম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুস সাত্তার, শফিকুর রহমান স্বপন, ইসকান্দর মির্জা, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন, নুরুল আমিন, নুর মোহাম্মদ, বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, এনামুল হক এনাম, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, হারুন জামান, নিয়াজ মো. খান, আবদুল গাফফার চৌধুরী, নুরুল কবির, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, আবু তাহের, বিএনপি নেতা এসএম সারোয়ার আলম, বাদশা মিয়া, ইদ্রিস আলী, আলী আজম চৌধুরী, ইউছুপ শিকদার, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, জসিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, কাজী মহিউদ্দিন, সালাউদ্দিন আলী, এমএ হালিম বাবলু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, মন্জুর কাদের, জাফর আহম্মেদ, মো. শাহজাহান, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহিদুল আলম শহীদ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুর রহমান মিটু, মো. আনাস সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।