ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসে সরকারের ব্যয় মেটানোর জন্য অস্থায়ী বাজেটের বিল পাসের বিষয়টি ভেস্তে গেছে। ফলে, প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। খবর সংস্থা রয়টার্সের।
রোববার (১ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী অর্থ বছর। কিন্তু, এখন পর্যন্ত নতুন অর্থ বছরের জন্য কোন বাজেট বরাদ্দ করেনি কংগ্রেস। যার ফলে, মাত্র এক দিন পর থেকে শুরু হতে যাওয়া অর্থ বছরে অর্থ সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম স্থবির, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থগিতও হয়ে যেতে পারে।
এ অবস্থায় ফেডারেল সরকারের ‘শাটডাউন’ বা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া এড়াতে অস্থায়ী স্টপগ্যাপ ফান্ডিং বিল আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা কেভিন ম্যাককার্থি। কিন্তু, তার দলের কট্টর ডানপন্থি অংশের আইনপ্রণেতাদের বিরোধিতার কারণে সেই বিল পাস হয়নি।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্টপগ্যাপ ফান্ডিং বিলটি উত্থাপন করা হয়। কিন্তু, সেটি পাস না হওয়ায় রোববার (১ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন অর্থ বছরের প্রথম দিনেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফেডারেল সরকারের অনেকগুলো শাখার কার্যক্রম।
স্টপগ্যাপ ফান্ডিং বিলে ম্যাককার্থি প্রস্তাব করেছিলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ বাজেটের বিষয়ে কংগ্রেস ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারছে, তার আগে অন্তত আগামী এক মাসের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে স্টপগ্যাপ ফান্ডিং চালু করা হোক। কিন্তু, ভোটে বিলটি পাস হয়নি।
বিলের পক্ষে ভোট দেন ১৯৮ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও বিপরীতে ভোট দেন ২৩২ জন। এই ২৩২ জনের মধ্যে আবার ২১ জন রিপাবলিকান পার্টির। নিজ দলের কারণেই এই বিলটি পাস হয়নি।
তবে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘আশা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটায় ফের এক দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেই ভোটে অগ্রগতি হলে বন্ধ হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কার্যক্রম।