শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী

বুধবার, জানুয়ারী ৪, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: দেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চারজন সাংসদ বুধবার (৪ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে নির্বাচন কমিশন অনেকটাই স্বাধীন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আপনাদের ওয়েস্টমিনস্টারের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। নির্বাচন পর্যবেক্ষক এলে আমাদের কোন সমস্যা নেই।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতে সামরিক শাসকদের কাছ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে আওয়ামী লীগের।

তিনি বলেন, সামরিক শাসকরা বন্দুক ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করত ও রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে পৃষ্ঠপোষকতা করত।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ সাংসদদের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের মত দেশগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ভোজ্যতেল আসত।’

‘কিন্তু যুদ্ধের কারণে এ আইটেমগুলোর আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে এই জিনিসগুলোর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে,’ তিনি যোগ করেন।

প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা সেখানে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাব।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘সাংসদরা মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলসহ কানেকটিভিটির উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।’

বাংলাদেশের উন্নয়নে এসব অবকাঠামো খুবই সহায়ক হবে বলে মনে করেন সংসদরা

ব্রিটেনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে তারা বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে চায়।

তারা উল্লেখ করেছেন যে, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী ও তারা ব্রিটিশ অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।

তারা আরো বলেন, ‘যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করবে।’

ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেছেন বলে জানান ইহসানুল করিম।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ব্রিটিশ সহায়তার প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আন্তরিক ও নিজস্ব সম্পদ দিয়ে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম শুরু করেছে।’

শেখ হাসিনা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, কমনওয়েলথ দেশগুলোর অভিভাবক হিসেবে তিনি সব সময় বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন।

তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।