সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

আমীর খসরুসহ বিএনপির তিন নেতার জামিন নামঞ্জুর

বুধবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন এবং পিস্তল ছিনতাই মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এর পূর্বে তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গেল ২৮ অক্টোবরের বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সাথে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতারের পর গেল ৩ নভেম্বর আমির খসরু ও স্বপনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. তরীকুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গেল ১০ নভেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গেল ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। দুপুরে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকার মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়। এ ঘটনায় গেল ২৯ অক্টোবর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করা হয়। এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ দিকে, পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ভাংচুরের অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স কারাগারে আটক রয়েছে। এর আগে গেল ৫ নভেম্বর আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গেল ৮ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গেল ২৮ অক্টোবর আসামিরা পুলিশ ক্যান্টিনে ভাংচুর করে ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতি সাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন। এছাড়া, মারধর করে পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গেল ১ নভেম্বর খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে পল্টন থানায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও, অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়।