ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: ইউক্রেনের জন্য শুক্রবার (১৯ আগস্ট) একটি নতুন ৭৭৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ; যার লক্ষ্য কিয়েভকে অনুকূল অবস্থানে ফিরিয়ে আনা ও রাশিয়ান বাহিনীর দখলকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা।
পেন্টাগনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ফেরুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রুশ আক্রমণ স্থবির করা হয়েছে ও নতুন প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুল হামলায় সক্ষম বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র, অ্যান্টি-আরমার অস্ত্র, নজরদারি ড্রোন, আর্টিলারি ও মাইন ক্লিয়ারিং সরঞ্জাম; যা ইউক্রেনীয়দেরকে আক্রমণাত্মক অভিযানে উৎসাহিত করতে পারে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আপনারা যুদ্ধ ক্ষেত্রে রাশিয়ানদের অগ্রাভিযানে পুরোপুরি স্থবিরতা দেখতে পাচ্ছেন।’
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯তম নতুন প্যাকেজে ইউক্রেন বাহিনী মিত্রদের সরবরাহকৃত নির্ভুল নির্দেশিত অস্ত্র ব্যবহার করে শত্রু লাইনের অনেক পিছনে আঘাত করেছে, জুনের মাঝামাঝি থেকে কয়েক ডজন রাশিয়ান অস্ত্র ডিপো ও কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করেছে। অতি সম্প্রতি, রাশিয়ানরা অধিকৃত ক্রিমিয়ার গভীরে একটি বিমানঘাঁটি ও অন্যান্য সুবিধায় বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এ সপ্তাহে রাশিয়ার বেলগোরোড প্রদেশের প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) ভিতরে একটি অস্ত্রের ডিপো বিস্ফোরিত হয়েছে৷
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, রাশিয়ান প্রতিরক্ষার পিছনে গভীরভাবে আঘাত করার মাধ্যমে এ ঘটনাগুলি ইউক্রেনের সক্ষমতার ইঙ্গিত দিতে পারে ও ছয় মাসের যুদ্ধে কিয়েভ এখন সম্মুখ আক্রমণ করতে প্রস্তুত।
প্রতিরক্ষা কৌশল বিশেষজ্ঞ ফিলিপস ও’ব্রায়েন টুইটারে লিখেছেন, ‘নতুন অস্ত্র পাওয়ায় ইউক্রেনীয়রা একটি বড় অগ্রগতির জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।’