কিয়েভ, ইউক্রেন: ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অপাররেটর এনারগোয়াতম মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত জাপোরিজঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ক্রিমিয়ার সাথে সংযোগ স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার বাহিনীর দখলে রয়েছে। আর ২০১৪ সালে মস্কো ক্রিমিয়া দখল করে। এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রিমিয়ায় নিতে এর ক্ষতি সাধন করছে। খবর এএফপির।
ইউরোপে এটি হচ্ছে বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর প্রথম দিকে তারা এটি দখল করে নেয়। গত সপ্তাহে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় কিয়েভ ও মস্কো পরস্পরকে দায়ী করে।
এনারগোয়াতমের প্রেসিডেন্ট পেত্র কোতিন ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেন, ‘জাপোরজিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থান করা রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ক্রিমিয়ার বিদ্যুৎ গ্রীডকে এ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে সংযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে রাশিয়ার অপারেটর রোসাটমের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি আরো ‘ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এ ক্ষেত্রে আপনারা প্রথমে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাওয়ার লাইন ধ্বংস করেন। ৭-৯ আগস্ট পর্যন্ত রাশিয়ার বাহিনী তিনটি পাওয়ার লাইন ধ্বংস করেছে। বর্তমানে এ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কেবলমাত্র একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন লাইন সচল রয়েছে। আর সেখানে চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’
কোতিন সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘সর্বশেষ উৎপাদন লাইন বন্ধ হয়ে গেলে কেন্দ্রটি ডিজেল চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পাবে। আর তখন সব কিছু নির্ভর করবে তাদের নির্ভরযোগ্যতা ও জ্বালানি মজুতের ওপর।’
এ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার ঘটনার পর সোমবার (৮ আগস্ট) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পরমাণু দুর্যোগের আভাস দেন।
এ দিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘পরমাণু কেন্দ্রের ওপর যে কোন ধরনের হামলা ‘আত্মঘাতী’ হবে।’
সোমবার (৮ আগস্ট) তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি, এ ধরনের হামলা আর হবে না। আমি আরো আশা করছি, আইএইএ’কে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনের সুযোগ করে দেয়া হবে।’