নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার অন্তর্ভূক্তির নিন্দা সম্বলিত খসড়া প্রস্তাব নিয়ে সোমবার (১০ অক্টোবর) বিতর্কের আয়োজন করছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। কারণ, পশ্চিমা শক্তিগুলো রাশিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করার প্রচেষ্টার ওপর জোর দিচ্ছে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বরে নিরাপত্তা পরিষদে একই ধরনের প্রস্তাবের ওপর রাশিয়া ভেটো দিলে তা ভেস্তে যায়। কিন্তু সাধারণ পরিষদে ভেটো বিষয়টি নেই ও ১৯৩ সদস্যের সকলেরই একটি করে ভোট দেয়ার বিধান রয়েছে।
জাতিসংঘে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ওলফ স্কুগ বলেছেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি ইউক্রেন ও অন্যান্য দেশের সহায়তায় প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেন।
সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি এ ধরনের অবৈধ উদ্যোগের বিরুদ্ধে কোন প্রতিক্রিয়া না জানায়, তাহলে পরিস্থিতি হবে খুবই ভযাবহ।’
রাশিয়া গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝজিয়া ও খেরসন নিজ দেশের সাথে অন্তর্ভূক্ত করে নেয়।
খসড়া প্রস্তাবে এ অন্তর্ভূক্তিকে অবৈধ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আইনে এর কোন বৈধতা নেই।
এতে সব রাষ্ট্র, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর প্রতি এ অন্তর্ভূক্তিকে স্বীকৃতি না দেয়ার আহবান ও ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।’
এ দিকে, রাশিয়া সব রাষ্ট্রের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে পশ্চিমাদের এ উদ্যোগের জবাবে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের নীতির সুরক্ষার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।’
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, ‘তারা কেবল তাদের ভূরাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিলের জন্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে।’
রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া চিঠিতে সই করেন।
তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত গোপন ব্যালটে ভোট নেয়া।’