রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ইয়েমেনে হুতির হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আরেক ড্রোন ভূপাতিত

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

মারিব, ইয়েমেন: যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি সামরিক নজরদারি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। ইয়েমেনে প্রায় তিন কোটি ডলার দামের যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার সর্বশেষ ঘটনা এটি। এর পূর্বে গেল এপ্রিলে এ ধরনের ড্রোন ধ্বংস করে হুতিরা। সংবাদ আরব নিউজের।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ‍হুতিরা জানিয়েছে, তাদের দেশের উপর দিয়ে উড়ন্ত যুক্তরাষ্ট্রের একটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠটি বলেছে, ‘শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে হুতি নিয়ন্ত্রত এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রে বিমান হামলার উত্তর দিয়েছে তারা।

হুতিদের এ দাবির ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। অন্য দিকে, হুতিরাও তাদের দাবির পক্ষে কোন ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করেনি।

২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করার পর থেকে হুতিরা বেশ কয়েক বার যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

গেল বছরের অক্টোবরে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগরে ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সাথে সম্পৃক্ত জাহাজে হামলা শুরু করে হুতি বিদ্রোহীরা।

হুতিদের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘হুতি যোদ্ধারা ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে ড্রোনটি গুলি করে ভূপাতিত করেছে।’ তেল ও গ্যাসক্ষেত্র সমৃদ্ধ মারিব প্রদেশ ২০১৫ সাল থেকে হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের মিত্রদের দখলে রয়েছে।

ড্রোনটি কোন অস্ত্রের সাহায্যে ভূপাতিত করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি ইয়াহিয়া সারি। তবে সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের তৈরি সারফেস টু এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইরান বেশ কয়েক বছর ধরে হতিদেরকে ৩৫৮ নামের সারফেস টু এয়ার মিসাইল সরবরাহ করে আসছে। যদিও ইরান বরাবরই হুতিদের অস্ত্র দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে, জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইরানের তৈরি অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ও ইয়েমেনগামী জাহাজে পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী অসংখ্য মনুষ্যবিহীন ড্রোন ব্যবহার করে থাকে, এর মধ্যে এমকিউ-৯ রিপার বহুল ব্যবহৃত। বড় আকৃতির এ ড্রোন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি ১৬টি হেলফায়ার মিসাইল বহনে সক্ষম।

এ ড্রোনের ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৭ ঘণ্টা ধরে একটানা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে। মূল্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এবং সিআইএ অনেক বছর ধরেই ইয়েমেনে এ ড্রোন ব্যবহার করে আসছে।