ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বরখাস্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার (২৯ এপিল) আন্দোলন দমাতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সংবাদ রয়টার্সের।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনোশ শফিক বিবৃতিতে ব্যাপারটি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীরা তাঁবু খাটিয়ে যে অবস্থান নিয়েছেন, তা তুলে নিতে বিক্ষোভকারীদের সাথে একাডেমিক নেতৃত্বের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়।’
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ চিঠিতে আন্দোলনকারীদের সতর্ক করে বলেছে, ‘দুপুর দুইটার মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থান ছেড়ে উঠে যেতে হবে এবং এ মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করতে হবে যে, তারা ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা মেনে চলবে। তা নাহলে, তাদের ছাত্রত্ব স্থগিত করা হবে ও সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া এ সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে সরে না যাওয়ায় কঠোর পথেই হাঁটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন শ্যাং বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত পরবর্তী ধাপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আমরা শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব স্থগিত করা শুরু করেছি।’
এর পূর্বে, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলেছেন, ‘কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ইসরাইলে যে অর্থায়ন করে, তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। যদিও এটি বিক্ষোভকারীদের একটি মূল দাবি। তবে এর বদলে শফিক প্রস্তাব দেন গাজায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ করার এবং কলম্বিয়ার সরাসরি বিনিয়োগের হোল্ডিংগুলোকে আরো স্বচ্ছ করার।’
তবে বিক্ষোভকারীরা তিনটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ম্যানহাটান ক্যাম্পাসে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের দাবি তিনটি হল ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাধারণ ক্ষমা।