শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে অর্ধলাখ পর্যটকের আগমন

বুধবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

এম আমির হোসাইন, পটুয়াখালী: ঈদুল ফিতরের আনন্দে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে এসেছে প্রায় অর্ধলাখ পর্যটক। এমনিতেই বিভিন্ন উৎসবে কুয়াকাটায় পর্যটক ও দর্শনার্থীর ভিড় বেড়ে যায়। এবারের ঈদুল ফিতরেও পর্যটক ও দর্শনার্থীর আগমনে জমজমাট হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই কুয়াকাটায় কমবেশি পর্যটকের আনাগোনা থাকে। তবে, এবারে ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন থেকেই কুয়াকাটায় বিভিন্ন বয়সের লোকজন ভ্রমণে এসেছেন। এবারের ঈদুল ফিতরে দূরদূরান্তের চেয়ে নিকটস্থ পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এরপর ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন রোববার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকরা কুয়াকাটার দিকে পাড়ি জমিয়েছেন।

সৈকত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল ফিতরের ছুটি উপভোগ করার জন্য কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা অধিকাংশ লোকজন লোনাপানিতে নেমে গোসলে ব্যস্ত। সৈকতের বালিয়ারিতে ফুটবল খেলে, সেলফি তুলে কিংবা হই-হুল্লোড় করে উপভোগ করছেন। অনেকে আবার ওয়াটার বাইক নিয়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, ‘এবারের ঈদের ছুটিতে পর্যটক ও দর্শনার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার হবে। তবে, এত পর্যটকের রাত যাপনের ব্যবস্থা কুয়াকাটায় না থাকায় অনেকেই সারা দিন ঘোরাঘুরি করে ফিরে যাচ্ছেন।’

সোমবার (২৪ এপ্রিল) অফিস খুললেও কুয়াকাটায় পর্যটকের চাপ আরো দুয়েক দিন থাকবে বলে তিনি মনে করেন।

পর্যটক ও দর্শনার্থীর আগমনের কারণে দোকানদার, বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফার, মোটরসাইকেল চালক, ভ্যানচালক, অটো-রিকশাওয়ালা, সৈকতের ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী, ট্যুর অপারেটরসহ পর্যটনকেন্দ্রিক সব ব্যবসায়ী বেশ খুশি।

কুয়াকাটায় ভাজা মাছ বিক্রির দোকানগুলোতে পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি ভিড় জমে। এসব দোকানীরা লবস্টার, রুপচাঁদা, কোড়াল, তাইরা, টুনা, চিংড়ি, কাঁকড়া ও ইলিশসহ বিভিন্ন মাছের পসরা সাঁজিয়ে রেখেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘প্রতিটি ভাজা মাছের দোকানে বিকাল চারটা থেকে রাত একটা পর্যন্ত বিক্রি চলে। প্রতি দোকানি ৪০-৫০ হাজার টাকা প্রতিদিন বিক্রি হয়। দুপুরের পর থেকে কুয়াকাটা সৈকত লোকারণ্য থাকে। এ ছাড়া, জাতীয় উদ্যান, লেম্বুর চর, গঙ্গামতী সৈকত, শুঁটকিপল্লি, ইলিশ পার্ক, মিশ্রিপাড়া রাখাইন বৌদ্ধমন্দির ও রাখাইন মহিলা মার্কেট এলাকায়ও ছিল প্রচুর ভিড়। তবে, সৈকতের দৈন্যদশা নিয়ে দূরের অনেক পর্যটক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘সাগরের তীব্র জোয়ারের কারণে সৈকত ভেঙে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সৈকতকে সুরক্ষিত করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি বড় প্রকল্প নিয়েছে। কাজটি শুরু হলে কুয়াকাটা সৈকত ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।’