শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

এবার ইসরাইলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি বাইডেনের

রবিবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
জো বাইডেন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার লডাইয়ের জেরে ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় দেড় মাস ধরে অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলের দখলদার বাহিনী। ইসরাইলের সেসব সরকারি কর্মকর্তা অভিযানকে সহিংস করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তাদের ওপরও এবার ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) ওয়াশিংটন পোস্টে ‘দ্য ইউএস ওন্ট ব্যাক ডাউন ফ্রম দ্য চ্যালেঞ্জ অব পুতিন অ্যান্ড হামাস’ শিরোনামে বাইডেনের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

নিবন্ধে জো বাইডেন লিখেছেন, ‘আমি ইসরাইলের নেতাদের জোরালোভাবে বলছি, পশ্চিম তীরে ব্যাপক সহিংসতা চলছে ও অবশ্যই তা বন্ধ করতে হবে। যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করতে বাধ্য হবে। সেসব পদক্ষেপের মধ্যে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও অন্তর্ভুক্ত।’

নিবন্ধে আরো এক বার হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ অবসানে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের (টু স্টেট সলিউশন) ওপর জোর দিয়েছেন বাইডেন।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু, আমরা শান্তির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, গাজা ও পশ্চিম তীরকে একটি একক শাসন-কাঠামোর অধীনে পুনরেকত্রিত হওয়া উচিত। শেষ পর্যন্ত সব একটি পুনরুজ্জীবিত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা উচিত। কেননা, আমরা সকলেই একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করা চলবে না, পুনর্দখল চলবে না, কোন অবরোধ চলবে না ও ভূখণ্ডের পরিমাণ হ্রাস করানো যাবে না।’

চলমান ইসরাইল-হামাস লডাই শেষে গাজার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কী চায়, মূলত সেই প্রশ্নের জবাব দিতে বাইডেন এ নিবন্ধের আশ্রয় নিয়েছেন।

এর আগে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে’ গাজার ‘সামগ্রিক সামরিক দায়িত্ব’ ইসরাইলকে হাতে তুলে নিতে হবে।’

ইসরাইল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইল বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা গেল ৭ অক্টোবর থেকে বেড়েছে। ওই দিন ইসরাইলে আচমকা হামলা চালায় হামাস। উত্তরে ওই দিন থেকেই গাজায় টানা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। এ পর্যন্ত ১২ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস কর্তৃপক্ষ। নিহতদের মধ্যে পাঁচ হাজার শিশু রয়েছে।