রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

এবার জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে জিহানের মূর‌্যাল উদ্বোধন

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশী আমেরিকান তরুণ শিল্পী জিহান ওয়াজেদ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনায় মূর‌্যাল এঁকে শিল্পকর্মে নিজের অবস্থান সংহত করার পাশাপাশি কুঁড়িয়ে চলেছেন সুনাম। এবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ব্যস্ত নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আকর্ষণীয় মুর‌্যাল একেঁছেন জিহান। বিমান বন্দরটির ফোর্র্থ টার্মিনালে আঁকা জিহানের মূর‌্যালটির গেল ২৬ জানুয়ারি সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

টার্মিনালের অফিস ভবনের চার তলার মিলনায়তনে মুর‌্যালটির উদ্বোধন করেন জেএফকে এয়ারপোর্ট এবং নিউইয়র্ক-নিউজার্সি পোর্ট অথরিটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। শিল্পী জিহান ওয়াজেদ, তার বাবা সাপ্তাহিক বাংলাদেশের সম্পাদক ওয়াজেদ খান ও মা পারভীন আকতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বিমান বন্দরের সিনিয়র ম্যানেজার (কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স) জুলিয়া মরিসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন জেএফকে আইএটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রোয়েল হাইনিক, জেএফকে এয়ারপোর্টের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জন এরানসিও, আউটরিচ এন্ড রিডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার র‌্যাচেল অ্যান্টেনিও, ক্র্যাডল মিউজিয়ামের প্রেসিডেন্ট এন্ড্রো পারটন, ফোর্থ টার্মিনালের ফটোগ্রাফার শোভম সিং, জেএফকে এয়ারপোর্টের অ্যাসিসট্যান্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার এডিলসন নুরেনা।

অতিথিরা জিহানের শিল্পকর্মের প্রশংসা করেন। তারা বলেন, ‘জিহানের আঁকা মূর‌্যাল জেএফকে বিমানবন্দরের চতুর্থ টার্মিনালের সৌন্দর্য্য বহু গুণে বৃদ্ধি করেছে। চতুর্থ টার্মিনালের আর্টকালচার কার্যক্রমের অন্যতম নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে জিহানের চিত্রকর্মটি। এ মুর‌্যাল প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীর দৃষ্টি কাড়ছে।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ ব্যস্ততম এ বিমানবন্দরটি ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তী ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির নামে নামকরণ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স কাউন্টিতে অবস্থিত বিমান বন্দরটিতে জিহানের আঁকা মূর‌্যালে স্থান পেয়েছে স্থানীয় ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো।’

যাত্রীদের মানসিক সন্তষ্টির জন্য জেএফকে কর্র্তৃপক্ষ এ ধরনের আরো শিল্পকর্মের সংযোজন করার আশাবাদ প্রকাশ করেন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে জিহান ওয়াজেদ জেএফকে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তাকে গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ স্থাপনায় মূর‌্যাল আঁকার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফোর্থ টার্মিনালের বিভিন্ন শিল্পকর্ম দেখেন অতিথিরা। ফোর্র্থ টার্মিনালের অভ্যন্তরে ডেলটা এয়ারলাইন্স এরিয়ায় জিহান ওয়াজেদের মুর‌্যালটি স্থাপিত হয়েছে। মুর‌্যালের পাশে জিহানের ছবি ও সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত শোভা পাচ্ছে।

বলে রাখা ভাল, যুক্তরাষ্ট্রের কোন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কোন শিল্পীর আঁকা এটিই প্রথম শিল্পকর্ম। জিহানের শিল্পকর্মের মধ্যে নিউইয়র্ক সিটি হেলথ এন্ড হসপিটাল বিভাগের কুইন্স হাসপাতালে এক হাজার ২৫০ বর্গফুটের বিশালকায় ‘রুটস অফ মেডিসিন’ ম্যুরাল, নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ার ইস্ট রিভার তীরে ‘এ সিটি ইন মোশন’ নামে একটি ম্যুরাল এঁকেছেন জিহান। হল্টারস পয়েন্ট মেগা ডেভেলপমেন্টে ৭৫০ ফুটের এ ম্যুরালটির স্থিরচিত্র সচল হয়ে উঠে মোবাইল অ্যাপসে। আকর্ষণীয় ভিন্নমাত্রিক আঙ্গিকে আঁকা দৃষ্টিন্দন মুর‌্যালটি ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে। গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের টিভি চ্যানেল সিবিএস মূর‌্যালটি নিয়ে জিহান ওয়াজেদের একটি সাক্ষাতকার প্রচার করেছে। এছাড়া, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ভবন, নিউইয়র্ক ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিলি জিন কিং ন্যাশনাল টেনিস সেন্টার, এস্টোরিয়ায় ১৭৭ ফিট দীর্ঘ ম্যুরাল ‘ওয়েলকাম এস্টোরিয়া’ মুর‌্যাল ও জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় ‘বাংলাদেশ ম্যুরাল’ অন্যতম।