শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

এবার বেলারুশের ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: এবার নতুন করে বেলারুশের সাত ব্যক্তি ও ১১ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর নেতৃত্বাধীন বেলারুশের সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, বেলারুশ সরকার দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নাগরিক সমাজের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর পরিবারের সদস্যরা আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ও ইউক্রেনে রাশিয়ার অন্যায্য যুদ্ধে বেলারুশের যোগসাজশ আছে। আর এসব কর্মকাণ্ডের জন্য লুকাশেঙ্কো সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্রে র অর্থ বিভাগের অধীন পরিচালিত বিদেশী সম্পদ নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ট্রেজারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্সের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান ই নেলসন বলেন, ‘বেলারুশ ও পৃথিবীতে অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে লুকাশেঙ্কো, তার পরিবার ও তার সরকারকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে আমাদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

নেলসন আরো বলেন, ‘লুকাশেঙ্কো সরকারের জন্য রাজস্ব জোগানো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাবে। এ ছাড়া, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও লুকাশেঙ্কো সরকারের প্রতি সমর্থনদাতাদেরও নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হবে।’

গেল ৯ আগস্ট বেলারুশের সরকারকে অর্থায়ন করা আট ব্যক্তি ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়, ‘বেলারুশের ক্ষমতাসীনরা নাগরিক সমাজের ওপর ক্রমাগত দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনে অনৈতিক যুদ্ধে জড়িয়েছে বেলারুশ। যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তারা এসব কাজে আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর সরকারকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রেখেছে।’

কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা লুকাশেঙ্কো বার বার অভিযোগ করে এসেছেন, পশ্চিমারা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বিশেষত, সর্বশেষ নির্বাচনের পর লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এতে পশ্চিমাদের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করেন লুকাশেঙ্কো। ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ লুকাশেঙ্কোর বিরোধীদের। আর লুকাশেঙ্কোর দাবি, নির্বাচন নিয়ম মেনে, সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।