মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি: বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার

রবিবার, জানুয়ারী ২৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি। এ জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার। রোববার (২৮ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে এবং প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, এ বছর এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

সভায় জানানো হয়, পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্ন ফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ট্রেজারি/থানা হতে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোন ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না ও প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাঁচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এমন কোন যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।
তাছাড়া সব কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেয়া হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি/থানা হেফাজত হতে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ প্রহরায় সব সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার সইয়ের প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারী জোরদার করবে।

সভায় আরো জানানো হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম ও পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে এবং নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য সরবরাহের প্রয়োজন হলে আন্ত:বোর্ডের সমন্বয়ক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমে সরবরাহ করবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, আইন শৃংখলা ও পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত নানা দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।