শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

মঙ্গলবার, নভেম্বর ২২, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ৫১তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনে সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস সংবর্ধনার আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও সেনাবাহিনীর আন্ডার সেক্রেটারি গ্যাবে কামরিলো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল টি প্লেহন ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো আফরিন আক্তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রমের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী তার বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান।  তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ ও দীর্ঘ সংগ্রামের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ‘তিনি বাঙালি জাতির দীর্ঘ দিনের লালিত স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধে সামরিক ও বেসামরিক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব ও সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা-কবলিত অঞ্চলে শান্তিও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসা অর্জন করেছে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে তারা বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখছেন।’

মার্কিন সেনাবাহিনীর আন্ডার সেক্রেটারি গ্যাবে কামারিলো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।’

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম সৈন্য প্রেরণকারী দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ও বিশ্বজুড়ে শান্তিও স্থিতিশীলতা বজায়ে রাখতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দেয়।’

রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘তার নেতৃত্বে নয় মাসব্যাপী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।’

তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জমাদি সংগ্রহ ও সফর বিনিময় ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।

বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, ডিফেন্স অ্যাটাচে ও পেন্টাগন, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও অন্যান্য মার্কিন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাহেদুল ইসলাম সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান ও দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিনিস্টার (রাজনৈতিক-১) দেওয়ান আলী আশরাফ।