সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নামকরণ ইসরাইলের হামলায় নিহত শিশুর নামে

বুধবার, মে ১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেয়া আল্টিমেটামের মুখে বিক্ষোভ আরো জোরদার করেছে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হ্যামিল্টন হল’ ভবনের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ শুরু করেছে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ টিম। সংবাদ আল জাজিরার।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বিক্ষোভকারীরা হ্যামিল্টন হলে অবস্থান নেয়ার মধ্য দিয়ে ভবনটি দখলে নেয়। একাডেমিক হল ভবনটি ১৯৬০-এর দশকে ছাত্র বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। বিক্ষোভকারীরা হলের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। বাইরে থাকা অন্যান্য বিক্ষোভকারী সেখানে থাকা টেবিল দিয়ে হলের দরজা বন্ধ করে দেয়। হলের সামনে হাতে হাত ধরে ব্যারিকেডও তৈরি করে তারা।

ভেতর থেকে এক বিক্ষোভকারী চিৎকার করে বলেন, ‘তারা গাজায় ইসরাইলের দখলদার বাহিনীর হাতে নিহত ছয় বছর বয়সি ফিলিস্তিনি শিশু ‘হিন্দ’-এর সম্মানার্থে ভবনটি ‘মুক্ত’ করেছেন, যে দখলদার বাহিনীকে অর্থায়ন করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।’ আর ভবনের ওপর তলা থেকে বিক্ষোভকারীরা ‘হিন্দ’স হল’ লেখা একটি ব্যানারও ঝুলিয়ে দেন।

এ দিকে, এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতিকে বিশৃঙ্খল বলে বর্ণনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘জোর করে ভবন দখল করা শান্তিপূর্ণ নয়। এটি করা ঠিক না।’

‘কলাম্বিয়া স্টুডেন্টস ফর জাস্টিস ইন ফিলিস্তিন’ নামে এক্স একাউন্টের পোস্টে বলা হয়, ‘দাঙ্গা থেকে নিজেদের সুরক্ষা পাওয়ার জন্য বিশেষ পোশাক পরে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাকের ওপর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় জানালা দিয়ে লাইন ধরে তারা (পুলিশ) ঢুকছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এর পূর্বে সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর দুইটার মধ্যে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছিল, ‘অন্যথায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পরে নির্দেশ অমান্য করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারও করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকে।