শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

শিরোনাম

কাঁচা দুধ নাকি দুধের সর, কোনটি বেশি উপকারী

শুক্রবার, জুন ৬, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউজ ডেস্ক: গ্রীষ্ম ও বর্ষায় আমরা ত্বকের যত্নে অনেক কিছুই ব্যবহার করি। অনেকে ত্বকের যত্নে দুধ বা দুধের সরও ব্যবহার করেন। তবে কাঁচা দুধ নাকি দুধের সর, ত্বকের যত্নে কোনটি বেশি উপকারী তা অনেকেই জানেন না। আর তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।চলুন, জেনে নেওয়া যাক—

ত্বকের পরিচর্যায় কোনটি সেরা, এ নিয়ে অনেক তর্ক রয়েছে। আসলে ত্বকের যত্নে দুটিই ব্যবহার করতে পারেন। দুটোর কাজ আলাদা। দুটো উপকরণই খেয়াল রাখে ত্বকের।

আলাদা আলাদা যেমন ব্যবহার করা যায়, তেমন আবার একসঙ্গেও ব্যবহারও করা যায়।
কাঁচা দুধ মূলত ত্বক পরিষ্কার করে, অর্থাৎ ক্লেনজারের কাজ করে। এর পাশাপাশি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। অন্যদিকে, দুধের সর দিয়ে খুব ভালো স্ক্রাবিং করা যায়।

ত্বকের ডেড স্কিন সেল একদম ঝরে যায় দুধের সর ব্যবহার করলে। তার ফলে জেল্লা বাড়ে ত্বকের। এ ছাড়া ডিপ ক্লিন হয় ত্বকের। ত্বকের একদম গভীর স্তরে জমে থাকা নোংরাও বের হয়ে যায়। তাই ত্বকের যত্নে কাঁচা দুধ ও দুধের সর, দুটিই ব্যবহার করতে পারবেন।

ত্বকের ময়শ্চারাইজার ধরে রাখতে দুই উপকরণই সাহায্য করে। আপনি চাইলে দুধ আর মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। আবার দুধের সর, বেসন, মধু মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত দুধ বা দুধের সরের সঙ্গে মধু, বেসন, হলুদ- এগুলো মিশিয়েই বাড়িতে সহজে ফেসপ্যাক, ফেস মাস্ক, স্ক্রাব তৈরি করে নেওয়া যায়। তারপর নিয়ম করে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করলে ত্বকের জেল্লা যেমন বাড়বে, তেমনি ত্বকের আরো অনেক উপকারে আসবে। এর ফলে ত্বক থাকবে মোলায়েম, দূর হবে কালচে দাগছোপ।

জেনে নিন সহজ কিছু টিপস-

ত্বকের যত্নের প্রথম শর্ত হলো ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করে রাখা। এ ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করে কাঁচা দুধ। ফ্রিজে রাখা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। দুধ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের গভীরে জমে থাকা নোংরা-ময়লা যেমন সহজে পরিষ্কার হবে, তেমনই আর্দ্র থাকবে ত্বক। দূর হবে রুক্ষ, শুষ্ক ভাব।

দুধ ফোটানোর আগে যে অবস্থায় থাকে সেই কাঁচা দুধ ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে হবে। তুলা দুধে ভিজিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। হাত ব্যবহার না করাই ভালো। কাঁচা দুধ, দুধের সর, এই দুটি জিনিসই স্ক্রাবার হিসেবে দারুণ। সহজে ডেড স্কিন সেল ঝরিয়ে ত্বকের জেল্লা ফিরিয়া আনে। বজায় রাখে ত্বকের আর্দ্র ভাব।

কাঁচা দুধ দিয়ে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করলে যাবতীয় কালচে দাগছোপ সহজে দূর হয়। যাদের ত্বকে কালচে দাগছোপ রয়েছে তারা এই উপকরণ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বাড়িতে ফেসপ্যাক তৈরি করার ক্ষেত্রে কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন অল্প হলুদ গুঁড়া ও সামান্য মধু। এই মিশ্রণ মুখে, গলায়, ঘাড়ে, হাতে, পায়ে, কনুইতে ব্যবহার করলে সহজে ট্যান দূর হবে।

দুধের সরের সঙ্গেও হলুদ গুঁড়া আর মধু মিশিয়ে ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের জেল্লা বাড়ানোর পাশাপাশি বজায় রাখবে ত্বকের আর্দ্র, মোলায়েম ভাবও। চেষ্টা করুন ত্বকের যত্নে ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা দুধ ব্যবহার করতে। কাঁচা দুধের মধ্যে সামান্য গুঁড়া দুধ মিশিয়েও গোসলের আগে স্ক্রাবিং করে নিতে পারেন। ট্যান দূর করার জন্য এই মিশ্রণ আদর্শ।

বাজারচলতি ক্লেনজার, ফেসওয়াশ, টোনারের পরিবর্তে প্রতিদিন অল্প একটু কাঁচা দুধ ব্যবহার করেই ত্বকের সবচেয়ে ভালো পরিচর্যা সম্ভব। একটা জিনিস দিয়েই দূর হবে ত্বকের অনেক সমস্যা।