কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি: টানা বৃষ্টিতে গেল কয়েক দিনের রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে সচল হয়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট। বর্তমানে সচল এ পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বমোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১৩৫ মেগাওয়াট। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই কর্ণফুলী জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গেল কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ও পাঁচটি ইউনিট সচল হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী, কাপ্তাই হ্রদে রোববার (৬ আগস্ট) ৯০ দশমিক ৬০ ফুট মীনস সী লেভেল (এমএসএল) পানি থাকার কথা। কিন্তু, হ্রদে এখন পানি রয়েছে ৮২ দশমিক ৯০ ফুট এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। তবে, পানি বৃদ্ধির ফলে বর্তমানে এ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রয়েছে। এ পাঁচটির ইউনিট থেকে বর্তমানে ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
আব্দুজ্জাহের জানান, পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে রোববার (৬ আগস্ট) পর্যন্ত এক নম্বর ইউনিট হতে ৩৩ মেগাওয়াট, দুই নম্বর ইউনিট হতে ৩২ মেগাওয়াট, তিন নম্বর ইউনিট হতে ২৬ মেগাওয়াট, চার ও পাঁচ নম্বর ইউনিট হতে প্রতিটিতে ২২ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
পানির পরিমাণ বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরো বাড়বে ও উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বলে রাখা ভাল, ‘পানির উপর নির্ভরশীল কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেশ কয়েক মাস পানির অভাবে শুধুমাত্র দুই থেকে তিনটি ইউনিট রেশনিং করে চালু রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়েছিল। বর্তমানে কাপ্তাই পানি বৃদ্ধির ফলে পাঁচটি ইউনিটই সচল করা হয়েছে। এ পাঁচটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৩০-২৪০ মেগাওয়াট।