রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংসহিতার ঘটনার তদন্তে সহায়তা করতে প্রস্তুত জাতিসংঘ

বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনাগুলো তদন্তে সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত জাতিসংঘ। তবে ‘স্বাধীনভাবে’ তদন্ত করতে হলে পূর্বে জাতিসংঘের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

বুধবার (৩১ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই যে কোন সরকারকে সাহায্য করতে সর্বদা প্রস্তুত। তারা বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করতে পারে। কীভাবে তাদের সর্বোত্তমভাবে সাহায্য করা যায়, আমরা তা দেখি। তবে, স্বাধীনভাবে তদন্তের জন্য জাতিসংঘের আইন প্রণয়নকারী সংস্থার (সাধারণ পরিষদ) অনুমতির প্রয়োজন হবে।’

বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা নিহত ও গ্রেফতার হওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে তাজা গুলি ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছি। বাংলাদেশ বা অন্য যে কোন জায়গার সরকারকে জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার এবং সাংবাদিকদের স্বাধীন ও নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করার অধিকার রক্ষা করতে হবে।’

এর পূর্বে পড়া বিবৃতিতে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সহিংসতা সত্ত্বেও সবাইকে মনে করিয়ে দেয়া দরকার যে, সেখানে একটি মানবিক সংকট চলছে। আমরা ও আমাদের অংশীদাররা বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় রেমালসহ বেশ কয়েকটি জরুরি পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছি। ইন্টারনেট বিভ্রাট, ব্যাংক বন্ধ ও কারফিউয়ের মত চ্যালেঞ্জগুলো সত্ত্বেও আমাদের অংশীদাররা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘গেল মাসে আমরা ও আমাদের অংশীদাররা ১২ লাখ মানুষকে সহায়তার জন্য আট কোটি মার্কিন ডলারের মানবিক সহায়তা পরিকল্পনা চালু করেছি। বর্তমানে এ কর্মসূচির মাত্র ১৮ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য গেল ৫ জুন কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা তহবিল থেকে ৭৫ লাখ ডলার ছাড় করা হয়েছে। যমুনা তীরবর্তী সম্প্রদায়গুলোকে নগদ অর্থ প্রদানের জন্য গেল ৪ জুলাই আরো ৬২ লাখ ডলার দেয়া হয়েছে এবং অবশ্যই, মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থী ও এবং স্থানীয়দের সহায়তার জন্য কক্সবাজারে একটি বিশাল মানবিক অভিযান চলমান রয়েছে।’