বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে বিএসএমএমইউ

বুধবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বিশ্ব খ্যাত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিএসএমএমইউয়ে আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-ব্লকে শিশু হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে ‘বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ইন চিলড্রেন এন্ড ক্যান্সার ভ্যাকসিন ইন চাইল্ডহুড ম্যালিগন্যান্সি’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় এক সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শারফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম আরো জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্য দিকে, স্টেমসেল থেরাপি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। বাস্তবায়ন করতে হবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন কার্যক্রম।’

উপাচার্য আরো বলেন, ‘বিএসএমএমইউয়ের শিশু হেমাটোলজি অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা ৩১ শয্যার ওয়ার্ড নিয়ে দশ হাজার শিশু রোগীকে সেবা দিয়েছেন, যা প্রশংসার দাবি রাখে।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডাক্তার মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ডাক্তার এসএম মোস্তফা জামান, শিশু বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার মানিক কুমার তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন শিশু হেমাটোলি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার এটিএম আতিকুর রহমান।

সেমিনারে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লাান্টেশন ইন চিলড্রেন’ শিরোনামে প্রবন্ধ পেশ করেন নারায়না হেলথ সিটি ব্যাঙ্গালোর, ভারত থেকে আগত সিনিয়র কনসাল্টেন্ট ডাক্তার সুনিল ভাট এবং ‘ক্যান্সার ভ্যাক্সিন ইন চাইল্ডহুড ম্যালিগনেন্সি’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলজি এন্ড অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার রেনেসা ইসলাম।

সেমিনারে বলা হয়, ‘প্রতি বছরই ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছেই। শিশুদের সাধারনত ব্লাড ক্যান্সার বা লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেশি। তবে, এছাড়াও কিডনির টিউমার, লিভারের টিউমার, চোখের টিউমার, ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হওয়া শিশুর সংখ্যাও কম নয়।’

ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সার এর হিসাব মতে, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় চার লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। দ্রুততম সময়ে সনাক্ত করা গেলে ও উন্নত চিকিৎসা পেলে শতকরা ৭০ ভাগ রোগী সেরে উঠতে পারে। উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে উন্নত দেশগুলোতে ক্যান্সার থেকে সেরে উঠা রোগীর হার শতকরা প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ।