চিকো, যুক্তরাষ্ট্র: ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলে দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় এ অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত এটি সবচেয়ে বড় দাবানল। কর্তৃপক্ষ শনিবার (২৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত দাবানলে প্রায় তিন লাখ ৫০ হাজার একর (এক লাখ ৪২ হাজার হেক্টর) এলাকা পুড়ে গেছে, এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে রেকর্ড করা সপ্তম বৃহত্তম দাবানল। অঙ্গরাজ্যের অগ্নিনির্বাপক সংস্থা ক্যাল ফায়ার এক্সে এ তথ্য জানিয়েছে।
দাবানলের কারণে চার হাজারেরও বেশি লোককে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী স্যাক্রামেন্টো থেকে প্রায় ৯০ মাইল (১৪৫ কিলোমিটার) উত্তরে চিকো শহরের কাছে একটি বড় গ্রামীণ, পাহাড়ী এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
ক্যাল ফায়ার বলেছে, ‘অগ্নিনির্বাপকদের চরম অগ্নি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে।’
সংস্থা জানায়, এক ডজনেরও বেশি হেলিকপ্টার ও বেশ কয়েকটি প্লেনসহ প্রায় আড়াই হাজার কর্মীর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আপাতত এটির নিয়ন্ত্রণ ‘শূন্য শতাংশ’।
ক্যাল ফায়ার শনিবার (২৭ জুলাই) আপডেটে বলেছে, ‘খাড়া ভূখন্ড ও বাতাসের কারণে আক্রমণাত্মকভাবে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। পাহাড়ের ঢাল ও অনুকূল বায়ুপ্রবাহের কারণে চরম আগুনের বিস্তার ঘটছে।’ যদিও এ অঞ্চলে শীতল আবহাওয়া ও উচ্চ আর্দ্রতা প্রত্যাশিত ছিল।
বুটে কাউন্টির চিকোর কাছে গেল বুধবার আগুনের সূত্রপাত হয় ও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে ও পার্শ্ববর্তী তেহামা কাউন্টিতে বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস হয়ে যায়।
সর্বশেষ আপডেটে দেখা গেছে, আগুনে ১৩৪টি স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে।
দাবানলের ঘন ধূসর ধোঁয়ার একটি বিশাল কলাম তৈরি করেছে; যা নিকটবর্তী রাজ্যগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই), একটি জ্বলন্ত গাড়িকে একটি খাদে ঠেলে ঢেলে দিয়ে আগুন লাগানোর সন্দেহে পুলিশ ৪২ বছর বয়সী ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। কিছু এলাকার বাসিন্দা যেমন জুলিয়া ইয়ারবো, ইতিমধ্যেই তাদের বাড়ি ছাই হয়ে যেতে দেখেছেন।
প্যারাডাইস থেকে মাত্র ১৫ মাইল দূরে চিকো শহর, ২০১৮ সালের আগুনে প্যারাডাইস শহর ক্যালিফোর্নিয়ার সর্বকালের সবচেয়ে প্রাণঘাতী দাবানলে বিধ্বস্ত হয়। এ সময় দাবানলে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দাবানল বা ক্যালিফোর্নিয়ায় কথিত পার্ক ফায়ার ছড়িয়ে পড়ায় ফের প্যারাডাইস থেকে লোকদের সরিয়ে নেয়ার সতর্কতার অধীনে রেখেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের কর্মের দ্বারা ত্বরান্বিত আরো চরম আবহাওয়ার কারণে দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে।’