মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি শুরু

শনিবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে তার দল। মেডিকেল বোর্ড সায় দিলেই যুক্তরাষ্ট্রে অথবা যুক্তরাজ্যে যাবেন তিনি। সেখানে তার লিভার প্রতিস্থাপনসহ জটিল চিকিৎসাগুলো করা হবে। তবে বিমানে লম্বা সময় ভ্রমণের মত উপযুক্ত শারীরিক সুস্থতা না থাকায় তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া বহু দূর এগিয়েছে বলে জানা গেছে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। যুক্তরাজ্যে নেয়া হলে ৮-১৩ ঘণ্টা সময় লাগে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োজন ১৮-২১ ঘণ্টা ফ্লাইং আওয়ার। কাজেই এ যাত্রার জন্য তার শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, কিছুটা সময় লাগবে। বেশকিছু জটিল চিকিৎসা করাতে অনেকটা সময় তাঁকে বিদেশে থাকতে হবে।’

মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডাক্তার আল-মামুন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্য দেশের বাইরে থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনা হবে।’

বোর্ডের আরেকজন সদস্য বলেন, ‘কাতারের কাছ থেকে বিমান আনার চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আরেকটু ফিট হলেই দিন, তারিখ ঠিক করা হবে। খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ছাড়াও বেশ কয়েকটি জটিলতা রয়েছে। এসব বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’

এ চিকিৎসক বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন করা। তবে, এর পূর্বে তার পুরো শরীর চেকআপ করে অন্য জটিলতাগুলো কমিয়ে আনতে হবে। প্রথমেই লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। তাই, শারীরিক অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বিএনপির চেয়ারপার্সন এখন কেমন আছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পূর্বে চেয়ে ভাল আছেন। প্রতিদিন চিকিৎসকরা নিয়ম করে বাসায় গিয়ে ফলোআপ করছেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা আসছেন। তিনি সকলের সাথে কুশল বিনিময় করছেন। পরিবারের লোকজনের সাথে সময় কাটাচ্ছেন। তার ঘুম ও খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে। স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটারগুলো সঠিক মাত্রায় রয়েছে। তবে বয়সের কারণে মাঝেমধ্যেই কিছু জটিলতা দেখা দেয়।’

এ দিকে, যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়ার ছোট পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের বাস ভবন পৌঁছেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কোকো স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা অবস্থায় প্রায় এক দশক পূর্বে মারা যান। তার পর থেকে শর্মিলা রহমান সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে থাকছেন। সেখানে খালেদা জিয়ার বড় পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সপরিবারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। এর পূর্বে গেল ২৮ জানুয়ারি সব শেষ ঢাকায় এসেছিলেন শর্মিলা রহমান সিঁথি। সে সময় তিনি অসুস্থ শাশুড়ির শয্যাপাশে ছিলেন।