ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে পূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছানোর পুরো দায় ইসরায়েল ও হামাসের। তবে, ৯০ শতাংশ মতৈক্য হয়ে গেছে। কিন্তু, এখনো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে একমত হওয়া বাকি আছে। তিনি দুই পক্ষকে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন বাকি দশ শতাংশ মতৈক্যে পৌঁছয় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে।
ব্লিনকেনের যুক্তি, ‘এটা এখন ইসরায়েল ও হামাসের দায়িত্ব মতৈক্যে পৌঁছনো, যুদ্ধ বন্ধ করা ও জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া।’
তিনি আরো জানান, ‘যে ব্যাপারের এখনো ফয়সালা হয়নি, তার মধ্যে আছে ফিলাডেলফি করিডর, যা গাজা ভূখণ্ড ও মিসরের সীমান্তে পড়ে। তা ছাড়া কিভাবে পণবন্দি ও ইসারেয়েলের জেলে বন্দিরা মুক্তি পাবেন, সেটা নিয়েও বিরোধ রয়েছে।’
ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, ‘আমি আশা করছি, মধ্যস্থতাকারী মিসর ও কাতার আমাদের চিন্তা-ভাবনার কথা হামাসকে জানাবে।’
‘আমরা ইসরায়েলের সাথে কথা বলব। তারপর আমরাও দেখব, কেমন করে বাকি ব্যাপারগুলো নিয়ে একমত হওয়া যায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ চ্যানেল ফক্সের সাথে সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘এখনো চুক্তি হওয়ার মত অবস্থা আসেনি।’
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এ সংঘাতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালালে এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়। সেই সাথে তারা ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় ৪০ হাজার ৮০০ মানুষ মারা গেছে বলে হামাস জানিয়েছে।