জেরুজালেম, ফিলিস্তিন: যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বলেছে, ‘গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তি ‘চূড়ান্ত’ করার সময় এসেছে।’ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার পর যুক্তরাষ্ট্র এ কথা জানায়। সংবাদ এএফপির।
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর দ্বারা ছয়জন নিহত জিম্মিকে পুনরুদ্ধারের পর ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ‘ছাড়’ দিচ্ছেন না নেতানিয়াহু। তবে, তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘চুক্তি চূড়ান্ত করার সময় এসেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সহযোগী মধ্যস্থতাকারী মিশর ও কাতারের সঙ্গে একটি চূড়ান্ত চুক্তির জন্য চাপ দেয়ার জন্য আগামী দিনে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।’
এ দিকে, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক গাজা থেকে উদ্ধার হওয়া ছয় বন্দির মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ার সংবাদের একটি ‘স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ’ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরাইলিদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান শোক ও ক্ষোভ সত্ত্বেও, সরকারকে চাপ দেয়ার জন্য রাস্তায় নামা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেতানিয়াহু। জিম্মিদের ভাগ্যের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘তিনি ‘চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না।’
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনের জন্য হামাসকে পুনরায় সশস্ত্র হতে বাধা দিতে গাজা-মিশর সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডোরের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।’
নেতানিয়াহুর প্রতি ইসরাইলের জনমতকে বিভ্রান্ত করার ও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে বাধা দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর)গাজা সীমান্ত দিয়ে হামাসকে অস্ত্র দেয়ায় মিশরকে ব্যবহার করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মিশর।
মিশরকে সমর্থন করে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ফিলাডেলফি করিডোর সংক্রান্ত ইসরাইলের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
আলোচকদের সঙ্গে এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জিম্মি চুক্তি সুরক্ষিত করার জন্য নেতানিয়াহু যথেষ্ট কাজ করছেন জানতে চাওয়া হলে বাইডেন ‘না’ সূচক উত্তর দিয়েছেন।