শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলার পাহাড়ের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ৩১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলার দাগ ও খতিয়ানসহ সব পাহাড়ের তালিকা এবং পাহাড়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এ নির্দেশ দেয়া হয়। জেলাগুলো হল- চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আনা একটি আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তিন মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার সাথে ছিলেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।

আদেশের পর বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদালত ২০১২ সালের ১৯ মার্চের (রিট পিটিশন নম্বর ৭৬১৬/২০১১) দেয়া রায়ের আলোকে পাহাড় কাটা রোধে সরকারের সংস্থাগুলো কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

চট্রগ্রাম বিভাগের ওই জেলাগুলোর সর্বশেষ বিদ্যমান পাহাড়গুলোকে আরো ক্ষতি, ধ্বংস ও কর্তন থেকে রক্ষার জন্য সব প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া এবং পাহাড় ও টিলায় পাহাড় কাটা বিষয়ে আদালতের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা প্রতিটি পাহাড়ে প্রদর্শন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ছাড়া, ইতিমধ্যে কাটা হয়েছে- এমন পাহাড়গুলোতে দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণ এবং দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার বিবাদীরা (রেসপনডেন্ট) হলেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশিনার এবং পরিবেশ অধিদপ্তর চট্রগ্রামের পরিচারক।