শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রামে অয়েল ট্যাংকার বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে দশজনের তদন্ত কমিটি গঠন

রবিবার, অক্টোবর ৬, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে পরপর দুইটি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটার কারণে জনমনে সন্দেহ জেগেছে- এতে কোন নাশকতার লক্ষণ আছে কিনা সংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘গেল শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় তেলবাহী দ্বিতীয় জাহাজে বিস্ফোরণে একজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর পূর্বের বিস্ফোরণেও প্রাণহানি ঘটেছে, যেটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। এরা খুবই দক্ষ কারিগর ছিলেন, তাদের অভাব পূরণ হওয়ার নয়। তাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব বিএসসি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়েছে। সিকিউরিটি এক্সপার্ট অয়েল ট্যাংকারে যারা কাজ করেছেন এবং বিএসসির প্রতিনিধিসহ দশজনের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষে বলা যাবে, কেন এ ঘটনা ঘটেছে।’

রোববার (৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবং পরিচালকসহ শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু দুইটা জাহাজ বিষ্ফোরণের কারণে অকেজো হয়ে গেছে, তার বিকল্প হিসেবে অন্যান্য জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, যাতে লাইটারিং জাহাজরে কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। আমি কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও চিটাগাং পোর্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে গিয়ে আগুন নিভিয়েছে এবং সেখানে আটকে পড়া ৪৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছে। নেভাল চিফ, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান, কমান্ডার থেকে শুরু করে সবার সাথে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। ভোর সাড়ে চারটা পযর্ন্ত আমি তাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। তারা আমাকে জানিয়েছে, সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাঙালি উদ্যোক্তা যারা বিদেশে ব্যবসায় করেন, তারা জাহাজ ও পাটে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। আমি বিদেশিদের আহ্বান জানায়, তারা যেন আমাদের জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ায় ও একসঙ্গে কাজ করে এ শিল্পকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।’

চীন থেকে জাহাজ ক্রয়ে দূর্নীতির অভিযোগ উঠছে বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের একটা টিম জাহাজ ক্রয়ের বিষয় নিয়ে কাজ করছে। পূর্বের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জাহাজের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু আমরা নেগোসিয়েশনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তারা যে দাম নির্ধারণ করেছে, সেটা থেকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। জাহাজ আমাদের প্রয়োজন। তাই, আমরা যাতে সেগুলো কিনতে পারি, সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। জাহাজ ক্রয়ের ব্যাপারে দূর্নীতির যে প্রশ্নগুলো উঠছে, মন্ত্রণালয় এসব ব্যাপারে দুদকের সাহায্য নিবে ও দুদক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’