শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রামে চাইনিজ ইকোনমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন স্থাপনে বেজার সাথে চুক্তি

শনিবার, আগস্ট ১৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: চাইনিজ ইকোনমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও চীনের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বেজা কার্যালয়ে এ চুক্তি সই হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমজিং, চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝাউ লিয়ানজি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।

এ চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে চাইনিজ ইকোনমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের উন্নয়নের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিচালনার জন্য কোম্পানি গঠনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া পর্যায়ক্রমে শুরু হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে চীনা সরকার বাংলাদেশের চট্টগ্রামে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পাঞ্চল স্থাপনের আগ্রহ ব্যক্ত করে। এরই প্রেক্ষাপটে চীন সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বেজার মধ্যে চাইনিজ ইকোনমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন স্থাপনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। চাইনিজ ইকোনমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন স্থাপনে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলায় ৭৮৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং প্রকল্পে দুইটি সংযোগ সড়কসহ অন্যান্য ইউটিলিটি স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। চাইনিজ ইকোনমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের অফ সাইট অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বেজা পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এ জিটুজি জোন উন্নয়নে বেজা ও চায়না রোড এন্ড ব্রিজ করপোরেশনের সাথে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

শেখ ইউসুফ হারুন ও ঝাউ লিয়ানজি চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানে শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘এ উদ্যোগ এক বিশাল কর্মযজ্ঞের সূচনামাত্র ও একটি পরিকল্পিত চাইনিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির মাধ্যমে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটবে।’

তিনি চীন সরকার ও চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে এ কর্মকান্ডের অংশীদার হওয়ার জন্যধন্যবাদ জানান।

লি জিমজিং বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি ধারা প্রশংসনীয়ভাবে অর্জন করেছে। চীন সরকার ও তার জনগণ সার্বিকভাবে বাংলাদেশের এ উন্নয়নের সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করতে চায়। জি টু জি উদ্যোগের আওতায় চাইনিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের এ নব যাত্রায় অংশীদার হতে পেরে চীন অত্যন্ত গর্বিত।’

তিনি উল্লেখ করেন, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে একটি পূর্ণতা দানে তার সরকার দ্রুত কাজ করতে বদ্ধ পরিকর।