চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক সহকারী কমিশনারসহ অন্তত চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের একটি গাড়ি। ঘটনার পর ২১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুরে জুমার নামাজের পর চট্টগ্রাম সিটির ডবলমুরিং থানাধীন চৌমুহনী এলাকায় জামায়াত কর্মীদের সাথে পুলিশের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে সিএমপির ডবলমুরিং জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুকুল চাকমাসহ চারজন পুলিশ সদস্য আহত ও পুলিশকে বহন করা একটি পিকআপ ভাঙচুর করেছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশ ২১ জনকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ শেষে আগ্রাবাদ থেকে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলটি চৌমুহনী এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষ করে ফেরার সময় তারা ইট-পাটকেল ছুড়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ও পুলিশের একটি গাড়িসহ দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশের ধাওয়ায় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পূর্বের অনুমতি ছাড়া আগ্রাবাদ বাদামতলি মোড় থেকে জামায়াত-শিবির মিছিল নিয়ে চৌমুহনীর দিকে আসে। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াতের নেতারা বক্তব্য দেন। ফেরার পথে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা করে। পরে, পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মিছিল থেকে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সহকারী কমিশনারসহ (ডবলমুরিং) বেশ কয়েকজন পুলিশ হামলায় আহত হয়েছেন। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মিছিল থেকে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
তবে, এ ব্যাপারে জানার জন্য জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বলে রাখা ভাল, কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার (২৮ জুলাই) সিটির আন্দরকিল্লা মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে, পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি।’