সিবিএন ডেস্ক: চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহতের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে, সেই কমিটিতে কারা আছেন, তা এখনও জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
মীরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে আজ শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জিআরপি থানাসূত্র বলছে, গেটে রেল কর্মী গেট বন্ধ করেছিল কি-না, তা তদন্ত করছে প্রশাসন। রেল লাইন পার হওয়ার সময় প্রভাতী নামের ট্রেনটি মাইক্রোবাসকে বেশ কিছু দূর টেনে নিয়ে যায়। এতে ১১ জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়।
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসকে কিছু দূর টেনে নেওয়ার পর ট্রেনের গতি কমে আসে। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীরা মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা হতাহতদের উদ্ধার করে।
নিহতদের মধ্যে চারজন শিক্ষক ও ছয়জন এসএসসি পরীক্ষার্থী আছেন। নিহত অপরজন ওই মাইক্রোবাসের চালক। গুরুতর আহত ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন—তৌফিক ইবনে শাওন, তাসনিম হাসান পাভেল, মো. মাহিম, নাহিদুল আলম সৈকত, মো ইমন ও আয়াত হোসেন। গুরুতর আহত এই ছয়জনের মধ্যে অনেকে আশঙ্কাজনক বলে দাবি করেছেন উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা।
নিহতরা হলেন—কোচিং শিক্ষাক মো. জিসান, মো. রিদোয়ান, মো. সজিব ও মো. রাকিব, শিক্ষার্থী মো. আসাদ, মো. হিসাম, মো. মারুফ ও মো সাজ্জাদ এবং মাইক্রোবাসচালক নিরু। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জিআরপি পুলিশের সীতাকুণ্ড ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) খোরশেদ আলম জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি কেটে কেটে লেন থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
জানা গেছে, একটি কোচিং সেন্টারের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে কয়েক শিক্ষক চট্টগ্রামের খৈয়াছড়া দেখে ফিরছিলেন।