রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রামে পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট ও মিল মালিকদের কারসাজি

রবিবার, মে ২১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: পেঁয়াজের বাজারসহ ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নেমেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (২১ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুকের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট চালানো হয়। এ সময় মূল্য তালিকা না থাকা ও ক্রয়-বিক্রির রশীদ সংরক্ষণ না করার মত অনিয়মের অপরাধে দুইটি দোকান ও এক ব্যাপারীকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এর মধ্যে বার আওলিয়া ট্রেডার্সকে পাঁচ হাজার টাকা, ফরিদপুর বানিজ্যলয়কে তিন হাজার টাকা ও ব্যাপারি জাহেদকে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

আড়তদারদের জরিমানা পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অস্বাভাবিক মূল্যে পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উমর ফারুক বলেন, ‘বাজারে বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করার পাশাপাশি মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও, বাজারে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীর মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগী একটা সিন্ডিকেট আছে; যারা পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনেকাংশে দায়ী। এখানে ডিমান্ড অর্ডারের (ডিও) মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি ক্রয় রশীদই বিক্রি হয় দশজনের অধিকের কাছে। আমরা বিভিন্ন ট্রেডিংয়ের দোকান থেকে ৬০০ এর উপরে মধ্যস্বত্বভোগীর নাম ও মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করেছি, যাদের মাধ্যমে একটি পণ্যের দাম হাত বদল হয়ে হয়ে দাম বাড়তে থাকে। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের পাশাপাশি মিল মালিকদের কারসাজিও আছে। এ বিষয়টি গুরত্বসহকারে নিয়ে এদের ট্রেড লাইসেন্স চেকিংসহ পরবর্তী এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এছাড়াও, সরবরাহ কমার অজুহাতে যাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে না পরে, সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে এবং নিয়মিত মনিটরিং করা হবে জানা গিয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘বাজার মনিটরিং আব্যাহত আছে। যে কোন ভোজ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে, যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে সিন্ডিকেটের কিছু নামের তালিকা সংগ্রহে আছে।