মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রাম-করাচি রুট নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে

মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: আমদানি পণ্যের কনটেইনার পর্যাপ্ত হলে চট্টগ্রাম-করাচি রুটে ভবিষ্যতে নিয়মিত জাহাজ চালাতে মালিকরা আগ্রহী জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেছেন, ‘ইতিপূর্বে পাকিস্তানের সাথে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হত। নয়া রুট চালু হওয়ায় বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলে। এতে সাশ্রয়ী খরচ ও সময়ে উভয় দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে নতুনভাবে গতিশীলতা সৃষ্টি হবে।’

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে শহীদ মোহাম্মদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

চবকের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথম বার গেল ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে একটি জাহাজ ৩২৮টি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম আসে। ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে। জাহাজটির সাধারণ রাউন্টিং হচ্ছে দুবাই জেবল আলী- করাচি-চট্টগ্রাম-ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়া-মুন্দা (ভারত)-দুবাই।’

তিনি বলেন, ‘গেল তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে আট লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। যা বিগত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউ’স বেশি, প্রবৃদ্ধি দশ দশমিক ২২ শতাংশ। ‘করোনা অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরবর্তী মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এ প্রতিকূল অবস্থা সত্ত্বেও চবক তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।’

জাহাজের এভারেজ ওয়েটিং টাইম কমিয়ে আনা প্রসঙ্গে চবকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘গেল ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৫ দশমিক পাঁচ হাজার কন্টেইনারের স্থিতি ছিল। অর্থাৎ, চবকের মোট ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৮৫ শতাংশ অকুপাইড ছিল। বিগত তিন মাসে পদ্ধতিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে তা ৩৪ হাজারে নামিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে জাহাজের এভারেজ ওয়েটিং টাইম ৬-৮ দিন হতে এক দিনে নেমে এসেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আগমনের পর জাহাজগুলো অন এরাইভাল বার্থিং পাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে চবকের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. হাবিবুর রহমান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশিদ উপস্থিত ছিলেন।