চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম- দশ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুসহ ছয়জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তারা।
মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আরমান আলী ও মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শামসুল আলম, তৃণমূল বিএনপি থেকে দীপক কুমার পালিত ও গণমুক্তি জোট থেকে রশিদ মিয়া।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকালে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আশা করছি, চট্টগ্রাম- দশ আসনটি নেত্রীকে উপহার দেব।’
এর আগে সোমবার (৩ জুলাই) রাতে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মহিউদ্দিন বাচ্চুর নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। এ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে ২৯ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম- দশ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এ আসনের উপনির্বাচনে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৮ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৭৭ জন। এ ছাড়াও, এ আসনে ২৩ জন ভোটার আছেন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া)। ১৫৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ২০১টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে ইভিএমের মাধ্যমে।’
সাংসদ আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেল ৮ জুন তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ৩০ জুলাই এখানে উপনির্বাচন। আজ (৪ জুলাই) ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করার শেষ দিন। মনোনয়ন পত্র বাছাই হবে ৬ জুলাই। প্রত্যাহার করা যাবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১২ জুলাই। ৩০ জুলাই সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ইভিএমে ভোট গ্রহণ চলবে।
বলে রাখা ভাল, গেল ২ জুন ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আফছারুল আমীন। তিনি দীর্ঘ দিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এ আসন থেকে ১৯৯৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচ বার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন।