চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটিতে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল দশটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত নিষিদ্ধ পলিথিন বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তিন জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চান্দগাঁও সার্কেলের এসিল্যান্ড মো. মাসুদ রানা জেল রোডের দশটি দোকানে অভিযান চালান। অভিযানের সময় দোকানগুলোতে কোন নিষিদ্ধ পলিথিন পাওয়া না গেলেও একটি গোডাউনে তালাবদ্ধ অবস্থায় পলিথিনের ব্যাপক মজুদ দেখা যায়। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ছোট ছোট ১১টি কক্ষের তালা ভেঙে প্রায় দুই টন পলিথিন জব্দ করা হয়। এ সময় গোডাউনের মালিক পালিয়ে যাওয়ায় গোডাউনের সব কক্ষে তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেয়া হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সিলগালা খোলা হবে না। যিনিই অনুমতি নিতে যাবেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া, একজন ব্যবসায়ীকে অল্প কিছু পলিথিন দোকানে রাখার দায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সিটির কোতোয়ালি থানাধীন রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএমএন জামিউল হিকমার নেতৃত্বে অভিযানে বেশ কিছু দোকান থেকে ৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয় এবং মাহফুজ সালাম ও মো. আব্দুর রহমান নামে দুইজন ব্যক্তিকে তিন হাজার করে মোট ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদের নেতৃত্বে সিটির আছাদগঞ্জ, চাকতাই ও বাকলিয়া এলাকায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইনে নিষিদ্ধ পলিথিন বিরোধী অভিযানে সাতটি কারখানা ও ২০টি মজুদকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এসবের মধ্যে বিসমিল্লাহ পলি ইন্ডাষ্ট্রিজ, সামরিন এন্টারপ্রাইজ, শাহজালাল প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং, মিজান পলিথিন মার্ট, যমুনা পলি, প্রাইম পলি, চিটাগং এক্সেসরিজ অন্যতম। অভিযানে নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ রাখার দায়ে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও ৩৭৬ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত সব পলিথিন ধ্বংস করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তিনজন সহাকারী পরিচালক, পাট উন্নয়ন সহকারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করেন।
চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটিকে পলিথিনমুক্ত করার লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এ বিষয়ে প্রশাসন আরো কঠোর হবে।’