শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চলমান অর্থনৈতিক সংকটে পোশাক খাতে এনবিআরের সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

মঙ্গলবার, অক্টোবর ১০, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৈরি পোশাক শিল্পে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ঢাকায় এনবিআরের সদস্য (কর) মো. নাজমুল করিমের সাথে বৈঠকে বিজিএমইএ এর সভাপতি ফারুক হাসান এ অনুরোধ জানান। বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির উপর বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য প্রভাব ও পোশাক খাতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবেলা করে শিল্প পরিচালনা করার সম্ভাব্য কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে দেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর সংক্রান্ত যে সব সমস্যা মোকাবেলা করছেন, যে সব চ্যালেঞ্জের সম্মুক্ষীণ হচ্ছেন, সেগুলো নিয়ে গুরুত্বের আলোচনা হয়।

বৈঠকে ফারুক হাসান বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার ফলে পোশাকের উপর ভোক্তারা ব্যয় হ্রাস করেছেন। ফলে, পোশাকের অর্ডার কমেছে ও রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া, ফ্যাশন শিল্পে পণ্য সরবরাহের জন্য সম্ভাব্য স্বল্পতম লিডটাইমের চাহিদা ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়েছে।’

এমন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে এনবিআরের দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত পরিষেবাগুলোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন ফারুক হাসান।

তিনি আরো বলেন, ‘জাহাজীকরণে দেরি হলে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতাকে প্রভাবিত করবে।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এরমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখা ও অব্যাহত প্রবৃদ্ধি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে।’