সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম

চাকরির জন্য না দৌঁড়ে সফল ফ্রিল্যান্সার লক্ষ্মীপুরের ইসমাইল

রবিবার, অক্টোবর ২, ২০২২

প্রিন্ট করুন

আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর: চাকরি না করেও যে স্বাধীনভাবে কিছু করা যায়, তা করে দেখিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলার এক তরুণ। নিজের ব্যবসায়ের পাশাপাশি দীর্ঘ চার বছরের কঠোর পরিশ্রমে ফ্রিল্যান্সিংয়ে তিনি এখন সফল।

বলছি, লক্ষ্মীপুর জেলার মো. ইসমাইল আহমেদের কথা। ইসমাইল ২০০২ সালের ৩ আগস্ট লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্ম নেন। তিনি উদয়ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে পড়াশোনা শেষ করেন ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২১ সালে বিদায় নেন। তার মধ্যে দিয়েই হয়ে উঠেছেন একজন সফল ইন্টারনেট উদ্যোক্তা।

তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ২০১৮ সালে নিজ এলাকায় ‘ইসমাইল ভ্যারাইটিজ স্টোর’ নামে একটি ব্যবসায়-প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এক বছর না যেতেই শুরু হয় বিশ্ব মহামারী করানো ভাইরাস। তখন তার ব্যবসায়ের পরিস্থিতি ছিল খুবই খারাপ। তিনি চিন্তা করতে থাকেন, কি করা যায়? তখন তার মাথায় আসে, সে অনলাইনে কাজ করবেন। তার অনলাইনের প্রতি ছিল প্রচুর মেধা। তখন তিনি ইউটিউব দেখা শুরু করেন, আর বেছে নিলেন ফ্রিল্যান্সিং। তখন থেকেই তার ব্যবসায়ের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ শুরু করেন।

ইসমরাইল বলেন, ‘আমি প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কিছুই বুঝতাম না, ইউটিউব দেখেই সব শিখেছি। যখনই আমি কোন বিশেষ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, তখন আমি আমার নিজের সমস্যা প্রকাশ করি নি। বদলের আমি সমাধানটি বের করতে পেরেছি ও অভিযোগ ছাড়াই এগিয়ে যেতে থাকি। সর্বোপরি, আপনি জীবনে কিছু অর্জন করতে পারবেন না, যদি আপনার ধৈর্য না থাকে। জিনিসগুলি দেখার ও শান্তভাবে কাজ করার, ধাপে ধাপে সবকিছু সমাধানযোগ্য। এসব কাজ এক দিন সফল হওয়ার ধাপ তৈরি করে। যদিও আমি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের জন্য কাজ করার সময় আমার কোন সমর্থন ছিল না। আমি কখনই বিশ্বাস হারাই নি, কারণ আমার সৎ সাহস আর বিশ্বাস ছিল যে, আমার যাত্রা সবে শুরু হয়েছে। আমার স্বপ্ন ছিল, আমি একজন ব্যবসায়ী হবো। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি হয়ে গেলাম ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। কিন্তু এখনো ব্যবসায় ছাড়িনি। ব্যবসায়ের পাশাপাশি করছি ফ্রিল্যান্সিং, সেবা দিচ্ছি দেশে ও দেশের বাহিরে।’

নতুন তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর সময় ব্যয় করি। যদি সময়টুকু নতুন কিছু শেখার পেছনে ব্যয় করা যেত, তাহলে আমরা অনেকেই হয়তো স্বপ্নের চেয়েও বহুদূর যেতে পারতাম। বর্তমানে অনলাইনে কোটি কোটি ফ্রি রিসোর্স, ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল ইত্যাদি আছে। তাই শেখার মাধ্যম আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়ে গেছে।’