শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

চোখের ক্যান্সার শরীরে ছড়িয়ে পড়লে জীবন রক্ষা করা কঠিন

বুধবার, মার্চ ২২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: ‘শিশুদের অন্ধত্ব সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা ও দ্রুত রোগ নির্ণয়-দৃষ্টি ও জীবনকে নিরাপদ করে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাসপাতালের ইমরান সেমিনার হলে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে এতে সূচনা বক্তব্য দেন বিএনএসবির অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক, সিইআইটিসির ম্যানেজিং ট্রাস্টি, আইএইচএলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার রবিউল হোসেন।

রোটারী ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল গ্রান্ট প্রজেক্টের প্রচারনায় ও বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধকল্যাণ সমিতি (বিএনএসবি), চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্ট (সিইআইটিসি), রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশী, রোটারী ক্লাব অব মারবুশ জার্মানীর সহযোগিতায় এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

এতে আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার রবিউল হোসেন বলেন, ‘চোখের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে আপামর জনসাধারনের কিছু ধারণা থাকলেও চোখের ক্যান্সার নিয়ে অনেকেই সচেতন নন। আর শিশুর চোখের ক্যান্সার অনেকের কাছেই কল্পনাতীত। বিরল হলেও শিশুর চোখের ক্যান্সার, চোখের দৃষ্টিঘাতী সেই সাথে প্রাণঘাতী। বিশেষ করে চোখের ক্যান্সার নিয়ে আমজনতার ধারণা খুব কম। চার বছর বয়সের মধ্যে যে এ ক্যান্সারটা হতে পারে, সে ঝুঁকির কথা মা-বাবারা ধর্তব্যে আনেন না। শিশুর চোখের দিকে খেয়াল রাখলে সহজেই রেটিনোব্লা স্টোমা ধরা পড়তে পারে। কারণ, চোখের মণির একেবারে মাঝখানটা সাদা হয়ে যায়। টর্চের আলো ফেললেই চোখের মণির কালো অংশের মধ্যিখানটা যদি সাদা দেখায়, তা হলে বিভ্রান্ত না-হয়ে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই বিচক্ষণতা।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিড়ালের চোখের মত চোখ জ্বলজ্বল করা, চোখ লাল হওয়া, এমনকী চোখে ব্যথা হওয়া, চোখ বেঁকে যাওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি চোখের ক্যান্সার বা রেটিনোব্লা স্টোমার লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখামাত্র দেরি না করে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। চোখের ক্যান্সার শরীরে ছড়িয়ে পড়লে জীবন রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।’

সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাক্তার ফরহাদুল আলম, ডাক্তার সোমা রানী রায়। স্বগত বক্তব্য দেন ডাক্তার সোমা রানী রায়। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী। সেমিনারে রোটারী ক্লবের পক্ষে বক্তব্য দেন ডিস্ট্রিক গভর্ণর রোটারিয়ান রুহেলা খান, ডিস্ট্রিক গভর্ণর ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান, রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হোসেন, রোটারিয়ান মো. মহিউদ্দিন।

সেমিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক ডাক্তার আহমেদ আব্দুল মন্নান, এইচওডি অফথালমোলজি, ইউএসটিসি, এপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের পেডিয়েট্রিক বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার ফয়সাল আহমেদ, সিইআইটিসির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার নাসিমুল গনি চৌধুরী, রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশীর প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার নাজুমুল হাসান, রোটারী ক্লাব অব চিটাগাং খুলশীর ফাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মো. মহিউদ্দিন।

সেমিনারে বলা হয়, ‘শিশুর চোখের ক্যান্সার অনেকের কাছেই কল্পনাতীত। এ রোগ ১৬ হাজার- ১৮ হাজার শিশুর মধ্যে এক জনের হতে পারে। সাধারণত ১-৩ বছর বয়সের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। এ রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি প্রাথমিক অবস্থায় রোগী সনাক্তকরণ, রোগীর পরিবারের চক্ষু পরীক্ষা ও নিয়মিত চেকআপও জরুরি।’