বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

জনপ্রিয়তা বাড়ছে নিউইয়র্কের ‘বিসমিল্লাহ হালাল লাইভ পোল্ট্রি মিট অ্যান্ড ফিশ মার্কেট’র

শুক্রবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মুসলিম পরিবারগুলোর রান্নাঘরে হালাল মাছ-মাংস সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে গড়ে উঠেছিল ‘বিসমিল্লাহ হালাল লাইভ পোল্ট্রি মিট অ্যান্ড ফিশ মার্কেট’। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর তাড়াতাড়িই গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। সময়ের পরিক্রমায় এর জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছৈ।

প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধীকারি আব্দুস সালাম ভূঁইয়া ও তার ভাই মনিরুল ইসলাম মমেন। শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত মান নিয়ে তারা কোন আপস করেন নি। ফলে নিউইয়র্ক সিটি ছাড়াও আলবেনি, আপস্টেট, ফিলাডেলফিয়া, নিউজার্সি, কানেকটিকাট ও বাফেলোসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এখানে এসে হালাল মাংস ও মাছ সংগ্রহ করেন।

প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে বিসমিল্লাহ হালাল লাইভ পোল্ট্রি মিট অ্যান্ড ফিশ মার্কেট। এটি উডসাইডের ৫৫ স্ট্রিটে অবস্থিত।

গরু-ছাগল-মুরগির পাশাপাশি বিসমিল্লাহ পোল্ট্রিতে পাওয়া যায় কোয়েল, কবুতর, তিতি মুরগি, বালিহাঁস, রেগুলোর হাঁস, চাতক পাখি, রাতা মোরগ, কোয়েলের ডিম, হাঁসের ডিম, মুরগির ডিম ও অর্গানিক ডিম। রয়েছে বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত ইলিশ, রুই, কাতাল, মৃগেল, কোরাল, গলদা চিংড়ি, কই, বাইলা, মলা, কাচকিসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ।

আব্দুস সালাম ভূঁইয়া বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে এটিই একমাত্র শরিয়া বোর্ড সার্টিফায়েড হালাল পোল্ট্রি, মিট ও ফিশ মার্কেট। এখান থেকে অনেক মসজিদের ইমাম ও খতিবরা মাংস ক্রয় করেন। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, পোল্ট্রির আরো কয়েকটি শাখা করার। কিন্তু সিটিতে নতুন করে পোল্ট্রি করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। তাই নতুন শাখা করার পরিকল্পনা আটকে আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যে মুরগিগুলো বিক্রয় করি, সেগুলো কেবল ভুট্টা আর পানি খেয়ে বড় হয়। এগুলোকে কোন ধরনের ভিটামিন কিংবা অন্য কোন মেডিসিন খাওয়ানো হয় না। আমাদের মুরগি খাওয়ার উপযোগী কি না, এটি রক্ত পরীক্ষা করার পরই বাজারে আসে। প্রতি মাসে শরিয়া বোর্ডের টিম আমাদের এখানে এসে ভিজিট করে। আমাদের এখানকার বিশেষত্ব হল- প্রতিটি মুরগি ‘আল্লাহু আকবর’ বলে জবাই করা হয়।’