সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

জলবায়ু বিষয়ে প্রচেষ্টা জোরদারে চীনের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের দূতের

সোমবার, জুলাই ১৭, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

বেইজিং, চীন: যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরি জলবায়ু বিষয়ে স্থবির হয়ে পড়া আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নির্গমন হ্রাসে চীনকে তাদের প্রচেষ্টা জোরদারে চাপ দিতে সোমবার (১৭ জুলাই) বেইজিং সফর করেন। খবর এএফপির।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিসদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি স্ব-শাসিত তাইওয়ান সফর করায় বেইজিং ক্ষুব্ধ হওয়ার পর গেল বছর দ্বিপাক্ষিক জলবায়ু আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে।

বলে রাখা ভাল, চীন তাইওয়ানকে তাদের নিজস্ব ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে।

তবে, তাইওয়ান ও অন্যান্য কয়েকটি সমস্যা নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিং মুখোমুখী অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও কেরি চীনের সাথে তুলনামূলকভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ধারাবাহিক সম্পর্ক উপভোগ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন।

তিনি সম্ভবত নিজের জন্য তার কাজ বন্ধ করে দিতে পারেন। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বোরবার (১৬ জুলাই) সিএনএন’কে বলেন যে, চীন একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় নি:সরণ কমানোর প্রচেষ্টা চালানোর ক্ষেত্রে কোন ধরনের দাবি আড়ালে না লুকাতে কেরি বেইজিংকে চাপ দেবেন।’

সুলিভান বলেন, ‘চীনসহ পৃথিবীর প্রতিটি দেশেরই দূষিত কার্বন নির্গমন হ্রাস করার দায়িত্ব রয়েছে।’

তিনি আরোবলেন, ‘আমি মনে করি, এ বিষয়ে পৃথিবীর পদক্ষেপ নেয়া ও সকলকে উৎসাহিত করা উচিত। বিশেষ করে, দূষিত বায়ু নির্গমন কমাতে আরো বেশি গুরুত্ব সহকারে পদক্ষেপ নিতে চীনকে চাপের মুখে রাখা।’

চীন তাদের উচ্চ নির্গমনকে ন্যায্যতা দেয়ার জন্য একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশটির সরকারি মর্যাদা দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করে আসছে।

সুলিভান বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে, সেই ফ্রন্টে তাদের আরো কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও অর্থ মন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের চীন সফরের পর জন কেরি এ সফরে আসেন। তাদের এসব সফরের প্রধান লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা।