মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম

জাতিসংঘের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন এরদোয়ান

বৃহস্পতিবার, মে ৩০, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

আঙ্কারা, তুরস্ক: রাফার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় ফুঁসে উঠেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গাজা উপত্যকার রাফার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল হামলা চালানোর পর বিশ্ব সম্প্রদায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তবে, জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্ব সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। আর এতেই চটেছেন এরদোয়ান। বুধবার (২৯ মে) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) সংসদীয় বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, ‘গাজায় জাতিসংঘের চেতনার মৃত্যু হয়েছে।’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তারা গণহত্যা থামানো তো দূরের কথা, নিজেদের স্টাফ বা সহায়তা কর্মীদেরও বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে।’ গাজায় নির্মমতা থামাতে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ব্যর্থ হওয়ার পর এমন কড়া ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘২১ শতকে যদি গণহত্যার সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করতে না পারে তাহলে জাতিসংঘ থাকার কোন অর্থই নেই।’

শুক্রবার (২৪ মে) রাফায় অভিযান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত আইসিজে। তারপরও ইসরায়েলের নেতৃত্ব তাদের আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। রোববার (২৬ মে) রাতে জাতিসংঘের একটি মিশনের গোডাউনের পাশে থাকা শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় বৈঠক আহ্বান করে জাতিসংঘ। তবে, ক্ষোভ ঝেড়েছেন এরদোয়ান।

শুধু জাতিসংঘ নয়, ইসরায়েলের বিমান হামলার পর মুসলিম বিশ্বের নিষ্ক্রিয়তা মেনে নিতে পারছেন না এরদোয়ান। ‘মুসলিম বিশ্বের উদ্দেশে বলতে চাই, একটি কমন সিদ্ধান্ত নিতে কিসের অপেক্ষায় আছেন আপনারা? ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) কখন কার্যকর ও প্রতিরোধমূলক নীতির বাস্তবায়ন করবে?’ ইসরায়েল শুধু গাজা নয়, মানবজাতির জন্যও হুমকি বলে বর্ণনা করেছেন এরদোয়ান।

নিজের বক্তব্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। তার সমালোচনা ধার থেকে বাদ যায়নি পশ্চিমা বিশ্বের নেতারাও। তারা চলমান এ গণহত্যার সহযোগী বলেও উল্লেখ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, ‘রাফায় ফিলিস্তিনিদের এ গণহত্যায় আপনাদের হাত রক্তে রঞ্জিত।’

এরদোয়ান বরাবরই ফিলিস্তিন ও দেশটির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি দরদশীল। কয়েক সপ্তাহ পূর্বে ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তুরস্ক। ফের কিছু দিন পূর্বে সংবাদ বেরোয় তুরস্কে হামাসের কয়েক শত যোদ্ধা চিকিৎসা নিয়েছে। তবে, মুসলিম বিশ্বের অস্বাভাবিক নীরবতা যেন গাজায় ইসরায়েলকে হামলার ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। তাই, ফুঁসে উঠলেন এরদোয়ান।