শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শিরোনাম

জাতিসংঘ ঘোষণায় মায়ানমার জান্তার ওপর আরো চাপ প্রয়োগের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: জাতিসংঘের মাধ্যমে মায়ানমারের জান্তার উপর আরো চাপ প্রয়োগের কথা জানিয়ে আসন্ন নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ কথা জানান।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন চলাকালীন মিয়ানমার বিষয়ে মার্কিন কূটনীতির নেতৃত্বদানকারী স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাউন্সেলর ডেরেক চোলেট এএফপি-কে বলেন, ‘জান্তা শাসকদের ওপর আরো চাপ প্রয়োগের বিষয়ে এখানে ব্যাপক সম্মতি রয়েছে।’

তিনি এ মাসে একটি বিমান হামলায় ১১ জন স্কুল ছাত্রের মৃত্যু ও সেই সাথে জুলাই মাসে জান্তা কর্তৃক চারজন বিশিষ্ট বন্দীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গণতন্ত্রের এক দশক-ব্যাপী পরীক্ষা শেষ করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক জান্তা নির্বাচিত সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।’

চোলেট বলেছেন যে, তিনি অন্যান্য সরকার ও ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেতা অং সান সু চির পার্টি দ্বারা প্রভাবিত জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করেছেন। বার্মা নামে পরিচিত দেশের অভ্যন্তরে সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীর সাথে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন৷

তিনি বলেছিলেন যে, তিনি নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবের বিষয়ে অন্যান্য দেশের সাথে কথা বলেছেন যদিও প্রচেষ্টাটি ‘খুব প্রাথমিক পর্যায়ে’ এখনো সুনির্দিষ্টভাবে স্পষ্ট নয়।

ডেরেক চোলেট মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর পক্ষে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী মিত্রদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, রাশিয়া ও চীন কাউন্সিলকে পদক্ষেপ নিতে দিতে কতদূর ইচ্ছুক সে বিষয়ে আমাদের সকলকে বাস্তববাদী হতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি, এ চেষ্টা চালানোটি গুরুত্বপূর্ণ।’

ডেরেক চোলেট বলেন, ‘আগামী আগস্টে জান্তার নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে।’ এ বিষয় তিনি অন্যান্য সরকারকেও জানিয়েছেন, ‘এ নির্বাচনে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতার কোন ধারণা দেয়া উচিত নয়।’

চোলেট বলেন, ‘এ সত্যের পরিপ্রেক্ষিতে যে, দেশের অর্ধেকের মত অঞ্চলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই, রাজনৈতিক বন্দীদের আটকে রেখে হত্যা করছে এবং অং সান সু চি মূলত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন ও ২০ মাস ধরে কেউ তাকে দেখে নি। এ অবস্থায় আমি তাদের বলেছিলাম যে, এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে এমন কোন সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) মায়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টমাস অ্যান্ডুজস সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, নির্বাচনে ‘জালিয়াতি’ হবে।

যুক্তরাষ্ট্র অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তা নেতাদের লক্ষ্য করে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।